গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
শোকের মাসে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক বৈধ শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী আরাফাত রহমান রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বুধবার (৪ আগস্ট) বেলা ১২টায় শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ২১১ নং রুমে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নির্দেশে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে তার কর্মী তরিকুল ইসলাম তরুনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম তরুন বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী সূত্রে, যখন ইবি ছাত্রলীগের কমিটি ছিলনা। তখন জয় ভাইয়ের বিভিন্ন পার্সনাল প্রোগ্রামে তারা ডাকত আমরা যেতাম নাহ। ২১১ নং রুমে যারা থাকি সবাই বৈধ সিট প্রাপ্ত। আমরা ছাত্রলীগ করি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই ছাত্রলীগ করি।
যেহেতু বৈধ সিটে আছি। বিভিন্ন হল প্রোগ্রামে যেতাম। তাদের পার্সনাল প্রোগ্রাম না যাওয়ায় আমার রুমমেট তরিকুল ইসলামকে (আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ ২০১৯-২০) মারধর করেন হাফিজ (রাষ্টবিজ্ঞান ২০১৫-১৬)। এসময় জিয়া হলের ২১১ নাম্বার রুমে তারা একটি ছেলে উঠিয়ে দেয়। আমরা বলছি তিন জনের রুমে চারজন কিভাবে থাকবে। এরপর এটি নিয়ে প্রক্টর অফিসে আলোচনা হয়। এখানে আমি সাক্ষী দিয়েছিলাম যে তারা তরিকুলকে মারধর করেছে। পরে ওই ছেলেকে বের করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এটি তখন সমাধান হয়ে যায়।
এরপর পদ পদবি পাওয়ায় হঠাৎ আজ বুধবার (৪ আগস্ট) বেলা ১১/১২টার পরে এসে দরজা ধাক্কাধাক্কি করছে। দরজা খোলার পর দেখি তরিকুল ইসলাম তরুন বাংলা ২০১৬-১৭ সেশনের। রুমে ঢুকে আমার রুমমেট তরিকুলকে বলছে তোরা আজই হল ছাড়বি। আমি রুমের কর্ণারে ছিলাম ভাইকে বললাম কে কি বলেছে পরে উনি বললেন জয় ভাই বলেছে। তখন বলেছি জয় ভাইকে ফোন দেই। এ কথা বলার পর উনি আমার মোবাইলটা নিয়ে আছাড় মেরেছে। এসময় তারা আমাকে কলার ধরে মারধর করেছে। আমি রুম থেকে বের হয়ে দেখি ওদের একজন রড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে আঘাত করার সময় রড চেপে ধরি। রুমের আশেপাশে থাকা লোকজন তাদের আটকায়। আমাকে পরে ধাক্কা দেয় এবং হাতে আঘাত করে। হাত থেকে রক্তক্ষরণ হয়। পরে ওখান থেকে পালিয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধু হলের গেস্ট রুমে গিয়ে লুকাই। এসময় এক শিক্ষককে ফোন দেই উনি আমাকে মেডিকেলে নিয়ে যায়। পরে তারা আমার রুমের আলমারির চাবি নিয়ে যায়। এবং তারা আমার রুম তালা বদ্ধ করে রাখে। এটি নিয়ে আমি প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেব।
অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম তরুন বলেন, আমি হলো বিশ্ববিদ্যালয় সেক্রেটারি নাসিম আহমেদ জয়ের গ্রুপ করি। আরাফাত জিয়া মোরে জয়ভাইকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছে। এই কথা তাকে জিজ্ঞেস করতে গিয়েছিলাম। এসময় আরাফাত রুমে ছিল আরেকজন ওয়াসরুমে ছিল। ওই ছেলেটি ওয়াসরুম থেকে আসতেছিল ওর সাথে কথা বলতেছি। এমন সময় দেখি পেছনে ও রড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা ৪/৫ ছিলাম তখন একটু ধাক্কাধাক্কি হয়ে যায়।
এসময় আরাফাতকে রড দিয়ে আঘাত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন তাকে আমি কোন প্রকার আঘাত করিনি। ধাক্কাধাক্কির সময় যা হয়ে যায় আরকি। উনি আমার ব্যাপারে যে অভিযোগ গুলো নিয়ে আসছে তার কোন সততা নেই।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি বিস্তারিত শুনেছি এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দ্রুতই এটা সমাধান করে ভুক্তভোগীদের নিজস্ব কক্ষে উঠার ব্যবস্থা করছি।
প্রক্টর প্রফেসর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। আগামীকাল হল প্রভোস্ট ও প্রক্টরিয়াল বডির সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।