গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক যুবকের কাছ থেকে ছিনতাই করা মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা ফেরত দিয়েছেন সূর্য সেন হল ছাত্রলীগের সেই দুই কর্মী। অভিযুক্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী তুষার ও ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শামীমুল ইসলাম।
বুধবার ছিনতাইয়ের ঘটনায় শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী যুবক প্রজিত দাস (২৮)। ছিনতাই হওয়া ফোন ও টাকা-পয়সা ফেরত পেয়ে তিনি বলেন, অভিযুক্তরা অন্যায় স্বীকার করেছেন। তারা এ কাজ করবেন না মর্মে ক্ষমা চেয়েছেন। তুষারের বাবা-মা ফোন করে কান্নাকাটি করেছেন। তিনি (তুষার) সুইসাইড করার হুমকিও দিয়েছিলেন। ছিনতাই হওয়া মোবাইল ও টাকা ফেরত দেওয়ায় মানবিক দিক বিবেচনা করে আমি আপস করেছি। লিখিত আপসনামায় উল্লেখ করা হয়, আমি প্রজিত দাশ বুধবার থানায় তুষার ও শামীমুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করি। তারা নগদ ১৭ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ফেরত দেওয়ায় আমার আর কোনো অভিযোগ নেই।
এদিকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তুষার। তিনি বলেন, আমার কাছে দুটি অপশন ছিল মামলা কাঁধে নিয়ে ঘোরা, আর না হয় আপস করা। তাই আমি আপস করেছি। কিন্তু ছিনতাইয়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বক্তব্য জানতে আরেক অভিযুক্ত মো. শামীমুল ইসলামকে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। আপসনামার বাদীর পক্ষে সাক্ষী হিসেবে সই করেন সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের নেতা মিলন খান এবং আসামিদের পক্ষে সই করেন সূর্য সেন হল ছাত্রলীগের নেতা শরিফুল আলম। শরিফুল আলম বলেন, অভিযুক্তরা বারবার ক্ষমা চেয়েছেন এবং এ কাজ আর করবেন না বলে স্বীকার করেছেন। ভুক্তভোগীও বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। শাহবাগ থানায় তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতে তারা আপসনামা করেছেন। আমরাও সেখানে উপস্থিত ছিলাম।
তবে আপসনামার কথা জানেন না শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার। তিনি বলেন, বাদীর মোবাইল ফোন বন্ধ। তাই তার সঙ্গে এখনো কথা বলতে পারিনি। আপসনামার বিষয়টা আমি জানি না। তারা আমাদের কাছে এখনো আসেননি। হয়ত নিজেরা নিজেরা আপস করেছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে জানান ভুক্তভোগী। অভিযুক্তরা মোটরসাইকেল, আইফোন ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেন বলে তিনি অভিযোগে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।