Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক চাপে তদন্তের ঘোষণা মিয়ানমারের

রোহিঙ্গা নির্যাতন

| প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারের উত্তর রাখাইন রাজ্যে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও মানবিক সঙ্কট এবং নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ‘জাতীয় পর্যায়ে কমিটি’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। গত সোমবার মার্কিন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার অনলাইন এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কর্তৃক দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহারে হত্যা ও তাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। ক্রমবর্ধমান এই সহিংসতা মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা এবং ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ অং সান সু চি তীব্র আন্তর্জাতিক সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছেন। মিয়ানমারের উপদেষ্টা পরিষদের তথ্য কমিটির সদস্য জাউ হিতে দেশটির সংবাদমাধ্যমকে জানান, নতুন তদন্ত কমিটি গঠনে কাজও শুরু হয়েছে। রাখাইন রাজ্যের উপদেষ্টা পরিষদকে সঙ্গে নিয়ে নতুন কমিটি কাজ করবে।
এদিকে, দেশটিতে এমন হত্যা-নির্যাতনের অভিযোগের পরও গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী হিসেবে পরিচিত অং সান সু চি চুপ করে থাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকার পরও তার নীরবতা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। রোহিঙ্গা গোষ্ঠীকে নির্মূলের এমন চক্রান্তের পেছনে তার সমর্থন রয়েছে বলেও অনেকে মনে করেন।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে দেশটির সীমান্ত পুলিশের ওপর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর হামলার পেছনে রোহিঙ্গাদের দায়ী করে সংখ্যালঘু এই মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালানো হয়Ñ যা এখনো অব্যাহত আছে।
স্থানটিতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দাবি, রাখাইনে এ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় ৮৬ থেকে ৪১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ঘরবাড়ি ছেড়েছেন দেড় লক্ষাধিক।
তবে মিয়ানমার সরকারের দাবি, আন্তর্জাতিক মহলের নজর কাড়তে রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় নিজেদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে। ২০১২ সালের মাঝামাঝি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সঙ্গে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেসময় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। গৃহহীন হয় অন্তত ১ লাখ মানুষ। যাদের বেশিরভাগই সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর। সূত্র : ওয়েবসাইট



 

Show all comments
  • জামিল ৩০ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:৫৪ এএম says : 0
    আন্তর্জাতিকভাবে তদন্ত করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mamun Andresen ৩০ নভেম্বর, ২০১৬, ১১:২২ এএম says : 1
    বাংলাদেশে এত খবরের কাগজ, দৈনিক ইনকিলাব একমাত্র খবরের কাগজ যা মানবতার পক্ষে লিখে
    Total Reply(0) Reply
  • Md Shariatullah ৩০ নভেম্বর, ২০১৬, ১১:২৩ এএম says : 0
    লাভ কী?
    Total Reply(0) Reply
  • Sumon ৩০ নভেম্বর, ২০১৬, ১১:২৪ এএম says : 0
    It is a great international comedy.
    Total Reply(0) Reply
  • Tariqul Islam ৩০ নভেম্বর, ২০১৬, ১১:২৪ এএম says : 0
    we want to punishment for su chi
    Total Reply(0) Reply
  • Amirul Islam ৩০ নভেম্বর, ২০১৬, ১১:২৫ এএম says : 0
    সুচির 1 নং .................
    Total Reply(0) Reply
  • Shawkat Ali ৩০ নভেম্বর, ২০১৬, ১১:২৭ এএম says : 0
    As Muslims we feel great shame for the eunuch organization OIC. How insensitively and inhumanly are they indifferent to the miseries of the Rohinga Muslims of Myanmar! Shame on them! Disband this castrated organization if it cannot come to any help for the Muslims!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ