Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তঃধর্মীয় প্রার্থনা নিয়ে ভারতীয় স্কুল তদন্তের মুখে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০২২, ১২:১৭ এএম

ভারতের একটি প্রাইভেট স্কুল একটি বিতর্কিত ধর্মান্তর আইনের অধীনে পুলিশি তদন্তের মুখে পড়েছে। স্কুলটিতে আন্তঃধর্মীয় প্রার্থনার সাথে ইসলাম ধর্মের ঘোষণাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওতে দেখা গেছে, কানপুরের ফ্লোরেটস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্ররা প্রার্থনা আবৃত্তি করছে যাতে চারটি প্রধান ধর্ম - হিন্দু, ইসলাম, খ্রিস্টান এবং শিখ ধর্মের পাঠ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বেশ কয়েকটি ডানপন্থী হিন্দু সংগঠন এবং হিন্দু পিতামাতারা সপ্তাহান্তে শহরে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে। সা¤প্রদায়িক উত্তেজনা পূর্বেও ছিল, তবে সা¤প্রতিক বছরগুলোতে হিন্দু চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) পরিচালিত স্থানীয় সরকারগুলো ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে তাদের আক্রমণকে তীব্র করেছে। বিদ্যালয়টি বিজেপি-শাসিত উত্তর প্রদেশ রাজ্যে। রাজ্যটি গত বছর রাজ্যের পূর্বানুমতি ছাড়াই সমস্ত ধর্মীয় ধর্মান্তরকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার একটি আইন পাশ করেছে। সমালোচকরা বলেছেন, আইনটিকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। পুলিশ মঙ্গলবার জানায়, হিন্দু অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্মীয় বিশ্বাসকে আঘাত করার জন্য আইনের অধীনে তদন্ত করা হচ্ছে যে, স্কুলটি ছাত্রদের ইসলাম গ্রহণের জন্য ‘প্রস্তুত’ করছে কিনা। কানপুরের সহকারী পুলিশ কমিশনার নিশাঙ্ক শর্মা এএফপিকে বলেন, ‘ইসলামিক প্রার্থনার বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে হিন্দু পিতামাতার কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি’। শর্মা বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে, কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্কুলে ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠের অনুশীলন বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু স্কুলটি ধর্মান্তরের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জোর দিয়ে জানায়, প্রতিষ্ঠানটিতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আন্তঃধর্মীয় প্রার্থনার পাঠ করানো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধর্মীয় স¤প্রীতির অনুভ‚তি জাগানোর লক্ষ্যে। স্কুলের প্রিন্সিপাল অঙ্কিতা যাদব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ২০০৩ সাল থেকে ঐতিহ্য অনুসরণ করে আসছি, কিন্তু কেউ আপত্তি করেনি। শুক্রবার কিছু অভিভাবক অভিযোগ করার পরে আমরা প্রার্থনা বন্ধ করে দিয়েছি’। সূত্র : ডন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ