Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগামী নির্বাচনের আগেই শান্তিচুক্তির ৯০ শতাংশ বাস্তবায়ন করা হবে -ওবায়দুল কাদের

| প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম


খাগড়াছড়ি জেলা ও রামগড় উপজেলা সংবাদদাতা : ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকেই পাহাড়ে শান্তির বাতাস বইতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকার পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে।
চুক্তির ৭২টি শর্তের মধ্যে অধিকাংশই বাস্তবায়ন করেছে আওয়ামী লীগ, আগামী নির্বাচনের আগে চুক্তির ৯০ শতাংশ বাস্তবায়ন করা হবে। গতকাল দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার সোনাইপুল এলাকায় নির্মাণাধীন একটি সেতু পরিদর্শনকালে আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কোন দ্বন্দ্ব-সংঘাত চায় না, পাহাড়ি-বাঙালির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চায়। শান্তিচুক্তির পর থেকে পাহাড়ে শুধু শান্তিই প্রতিষ্ঠিত হয়নি, তিন পার্বত্য জেলায় ব্যাপক উন্নয়নও হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের একমাত্র রূপকার, শেখ হাসিনার সরকার। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী জানুয়ারিতে ফেনী নদীতে রামগড়ে স্থলবন্দরের মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
পরে রামগড় উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও জনসভায় যোগ দেন তিনি। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রসঙ্গে সরকার সবসময় আন্তরিক এবং এই অঞ্চলের উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। পাহাড়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা ভূমি বিরোধ সমস্যা। এ সংকট উত্তরণের লক্ষ্যে শান্তিচুক্তির আলোকে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের সংশোধনী আনা হয়েছে। ইতিমধ্যে কমিশন বিরোধ নিষ্পত্তির কাজও শুরু করে দিয়েছে।’
অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের মুর্হুমুহু শ্লোগানের জবাবে তিনি বলেন, লাল গোলাপের শুভেচ্ছা নিতে আসিনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশকে এগিয়ে যাওয়ার ম্যাসেজ পৌঁছাতে এসেছি। ‘ফুল শুকিয়ে যাবে পাথর ক্ষয়ে যাবে, হৃদয়ে লিখা নাম হৃদয়ে রয়ে যাবে’ এমন কবিতার পঙক্তিমালা উচ্চারণ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর যে নাম আমরা হৃদয়ে লিখেছি তা লালন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
এদিকে সভা শুরুর আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভক্ত দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া বিকেলে ঐতিহাসিক খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন মন্ত্রী। এসময় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, রাঙ্গামাটি আসনের সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম প্রমুখ।   
অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলমের দীর্ঘদিনের চলমান বিরোধ মীমাংসা করেন প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের। সেই সাথে অনুষ্ঠানে প্রায় পাঁচ শতাধিক অনুসারী নিয়ে পুনরায় দলে ফিরে আসেন খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওবায়দুল কাদের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ