নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কনিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চম ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে যোগ দিতে আজ তুরস্কের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিচ্ছে ৫৮ সদস্যের বাংলাদেশ দল। ১০ দিনব্যাপী আসর শুরু হবে ৯ আগস্ট থেকে। এবারের গেমসে ৫৫টি দেশে প্রায় ৬ হাজার প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করছে। বাংলাদেশ থেকে ১১টি ইভেন্টে মোট ৫৮ জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। আগামীকাল থেকে কয়েক ধাপে খেলোয়াড়রা কনিয়া গমন করবেন। গতপরশু চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে গেমসের সেফ দ্য মিশন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য ও বিভাগীয় সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ড. সিরাজউদ্দিন মো. আলমগীর এ তথ্য জানান। বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাসের উপস্থিতিতে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর সলিডারিটি গেমসে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। আমাদের দেশ থেকে ১১টি ইভেন্টে অংশ নিতে মোট ৫৮ অ্যাথলেটকে বাছাই করেছি। যাদের মধ্যে সাঁতারে ২ জন, আর্চারিতে ১২ জন, অ্যাথলেটিকে ৩ জন, কারাতে ইভেন্টে ৪ জন, দলগত ইভেন্ট হ্যান্ডবলে ১৬ জন, টেবিল টেনিসে ৭ জন, জিমন্যাস্টিকসে ৩ জন, ভারোত্তোলনে ২ জন, রেসলিংয়ে ৩ জন, শুটিং ২ জন, ফেন্সিংয়ে ৪ জন, আর্চারিতে রোমান সানা, দিয়া সিদ্দিকী, ১০০মি. স্প্রিন্ট-এ লন্ডন প্রবাসি ইমরানুর রহমান, আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকসে নিউজিল্যান্ড প্রবাসী আলী কাদের হক, হাই জাম্পে উম্মে হাফসা রুমকি, কারাতে মারজানা আক্তার, সুমায়রা আক্তার অন্তরা, আল আমিন ইসলামসহ বেশ কয়েকটি ইভেন্টের খেলোয়াড় রয়েছেন। আশা করছি দেশকে ভালো কিছুই উপহার দিতে পারবো।’
বাংলাদেশ ফাইনালে
স্পোর্টস রিপোর্টার : সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশ। আগের তিন ম্যাচে টানা তিন জয় ছিল। ফাইনাল নিশ্চিত করতে নেপালের সঙ্গে ড্র করলেই চলত। তাই করেছে লাল সবুজের যুবারা। গতকাল ভুবনেশ^রের কালিঙ্গা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। এর ফলে অপরাজিত থেকেই ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে তানভির হোসেনদের। শুক্রবার একই ভেন্যুতে শিরোপার জন্য খেলবে বাংলাদেশ। চার ম্যাচে দশ পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত থেকে এবং পাঁচ দলের মধ্যে গ্রæপ ১০ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েই ফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ।
চার ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট ১০। পরের ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ভারত জিতলেও তাদের হবে ৯। আর ভারত ও মালদ্বীপের ম্যাচটি ড্র হলে দুদলের পয়েন্ট হবে সমান ৭। সেক্ষেত্রে নেপালকে ৮-০ গোলে হারানোয় হেড টু হেডে এগিয়ে থেকে ভারত ফাইনালে খেলবে।
প্রথমার্ধে ভাল খেলেও গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। ম্যাচের ৫০ মিনিটে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে দুই দলের খেলোয়াড়রা মারামারিতে লিপ্ত হন। জটলার মধ্যে দুই দলের ফুটবলাররা হাতাহাতিতে জড়ান। একে অন্যকে লাথিও দেন। ডাগ আউট থেকে রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলাররাও এসে যোগ দেন মারামারিতে। পরিস্থিতি ঠান্ডা হওয়ার পর বাংলাদেশের বাংলাদেশের শাহিদুল ইসলামকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি ইমরান হোসেন। ফলে দুই হলুদকার্ডের সুবাদে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন শাহিদুল। দশজনের দলে পরিণত হয় লাল সবুজের দল। একই সময়ে নেপালের দিপেশ গুরুংকেও লালকার্ড দেখিয়ে বের করে দেওয়া হয়। দশজনের দলে পরিণত হয় নেপালও।
দুই দল দশ জনে পরিণত হওয়ার পর ম্যাচে দু’টি গোল হয়। ৬৩ মিনিটে বক্সের ভেতরে সতীর্থের কাছ থেকে ক্রসে বল পেয়ে দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে নেপালের গোলকিপার ঈশ^র গুরুংকে বোকা বানান পিয়াস আহমেদ নোভা (১-০)। মিনিট পাঁচেক পর নেপালের নিরঞ্জন মাল্লাহ গোল করলে ম্যাচে সমতা আসে (১-১)। ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল না হওয়ায় বাংলাদেশ অপরাজিত থেকে ফাইনালে ওঠে। আর নেপাল টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে আজ দেশে ফিরে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।