Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মহিলার লড়াই যেন রূপকথা!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০২২, ১২:০২ এএম

এক কথায় অবিশ্বাস্য। সিনেমার জন্য এমন স্ক্রিপ্ট লিখতে ভয় পাবে বলিউডও। স্বামীর মৃত্যুর পর পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন। বর্তামে তিনি ভারতের স্টেট ব্যাংকের একটি ব্রাঞ্চের অ্যাসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার। মুম্বাইয়ের প্রতিক্ষা টন্ডওয়ালকারের কঠিন লড়াই ও অবাক করা সাফল্যকে ব্যাখ্যা করাই কঠিন।
প্রতিক্ষার বিয়ে হয় ১৬ বছর বয়সে দশম শ্রেণির পরীক্ষা দেওয়ার আগে। বন্ধ হয়ে যায় পড়াশুনো। স্বামী সদাশিব কুডু এসবিআইয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী এবং বিয়ের চার বছর পর একটি দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। এরপর ওই ব্যাংকে পরিচ্ছন্ন কর্মীর চাকরি পান প্রতিক্ষা।

স্বামীর ব্যাংকের কর্মীরা সাহায্য করেন প্রতিক্ষাকে। তিনি দু’বেলা পরিচ্ছন্নতার কাজ করে বাকি সময় দশম শ্রেণির পরীক্ষার জন্য পড়াশুনা করতেন। শেষ পর্যন্ত ৬০ শতাংশ নম্বর নিয়ে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করেন। এরপর নাইট কলেজে ভর্তি হয়ে ক্লাস টুয়েলভ পাশ করে পরিচ্ছন্নতা কর্মী থেকে ক্লার্কের পদ পান প্রতিক্ষা।
১৯৯৫ সালে মুম্বাইয়ের ভিখরোলি কলেজ থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক হন প্রতিক্ষা। এর মধ্যে ১৯৯৩ সালে ব্যাংককর্মী প্রমোদ টন্ডওয়ালকারের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। প্রতিক্ষার কথা, প্রমোদের উৎসাহেই এত উপরে উঠে আসা। বর্তমানে মুম্বাইয়ে স্টেট ব্যাংকের একটি ব্রাঞ্চের এজিএম।

জীবনের এই কঠিন লড়াইকে অবিশ্বাস্য বোধ হয় খোদ প্রতিক্ষার। তিনি বলেন, ‘যখন পিছনে ফিরে তাকাই, মনে হয় অসম্ভব। কিন্তু আমি এটা পেরেছি ভেবে আনন্দ হয়। যিনি বিষাদগ্রস্ত, আমার জীবনের কথা শুনলে হয়তো তিনি অনুপ্রাণিত হতে পারবেন।’ সূত্র : ফ্লিপবোর্ড, নিউজ ১৮।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ