গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আটকে রেখেছেন বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে জানানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ
ব্যাংকের প্রতিনিধির কাছে মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন নেতৃত্বাধীন কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হয়। সংসদীয় কমিটির কার্যপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে আহŸায়ক করে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টটি সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী মোট খোয়া গেছে ৮১ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ১৫ মিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে। বাকি ৬৬ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৩৪ মিলিয়ন পাইপলাইনে আছে। আর বাকি ৩২ মিলিয়ন ডলারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। কমিটি ওই ৩২ মিলিয়ন ডলার চিহ্নিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে ব্যবস্থা নিতে বলেছে বলেও জানান তিনি। আমরা ফরাসউদ্দিন সাহেবের প্রতিবেদন দেখতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, ওই প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রীর কাছে রয়েছে, তিনি প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি শওকত আলী। এই জবাব পেয়ে সংসদীয় কমিটি প্রতিবেদনটি জোগাড় করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিনিধিকে বলেছেন। শওকত আলী বলেন, অর্থমন্ত্রী দায়িত্বশীল ব্যক্তি। কিন্তু সংসদ এবং সংসদীয় কমিটিকে তো এটা প্রতিবেদন দেখাতে হবে।
গত ফেব্রæয়ারিতে সুইফট মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে রাখা বাংলাদেশের এক বিলিয়ন ডলার সরিয়ে ফেলার চেষ্টা হয়। এর মধ্যে পাঁচটি মেসেজে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার যায় ফিলিপিন্সের একটি ব্যাংকে। আর আরেক আদেশে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হয় ২০ লাখ ডলার। শ্রীলঙ্কায় পাঠানো অর্থ আটকানো গেলেও ফিলিপিন্সের ব্যাংকে যাওয়া অর্থের বেশির ভাগই স্থানীয় মুদ্রায় বদলে জুয়ার টেবিল ঘুরে চলে যায় নাগালের বাইরে। তার কিছু অংশ উদ্ধারের পর সম্প্রতি বাংলাদেশ ফেরত পেয়েছে। বিশ্বজুড়ে আলোচিত এই ঘটনায় সমালোচনার মুখে গভর্নরের পদ ছাড়তে বাধ্য হন আতিউর রহমান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ে আনা হয় বড় ধরনের রদবদল। মার্চ মাসে সরকারের পক্ষ থেকে গঠন করা হয় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি, যার প্রধান করা হয় সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিনকে। ফরাসউদ্দিন গত ৩০ মে ওই প্রতবেদন দেয়ার পর অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, রিপোর্টে যা আছে তা অবশ্যই প্রকাশ করা হবে। এরপর কয়েক দফা সময় দিয়েও কথা রাখেননি মুহিত। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিবেদন প্রকাশ করার দিনক্ষণ ঠিক করে দিলেও তিনি পরে তার অবস্থান থেকে সরে যান। এর আগে প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ায় অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিও ক্ষোভ প্রকাশ করে। তারপরে সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটিও ওই প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চেয়েছিল।
শওকত আলীর সভাপতিত্বে বৈঠকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভ‚ঁইয়া, আবদুর রউফ এবং নাভানা আক্তার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।