Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

প্রত্যেকটি গুলির জবাব দেয়া হবে: গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০২২, ৮:৫৫ পিএম

পুলিশের প্রতিটি গুলির জবাব দেয়া হবে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তাদের সাথে সুন্দর কথা বলে কোনো কাজ হবে না। যেখানে হাত ছাড়া কাজ হয় না, সেখানে হাতকে ব্যবহার করতে হবে। সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গত রোববার ভোলায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের গুলিতে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমের মৃত্যুর প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদেরকে আরো বেশি সক্রিয় হতে হবে। শুধু সামাজিক মাধ্যমে ব্যস্ত থাকলে হবে না। আজকে ছাত্রদলের, যুবদলের, স্বেচ্ছাসেবক দলের যারা প্রাণ দিয়েছেন তারা তো জিয়ার অনুসারী। সুতরাং তাদের মতো আমাদেরকেও হতে হবে। কোনো সিদ্ধান্তের অপেক্ষা নয়। যে যেখানে থাকবেন সেখানেই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে।

তিনি বলেন, পুলিশের সাথে দুলাভাইয়ের মতো কথা বলে লাভ নেই। তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। তারা জনগণের টাকায় চলে। তাদের টাকায় জনগণ চলে না। যেখানেই বাধা সেখানেই জবাব ও প্রতিবাদ করতে হবে। রাস্তায় যখন নেমেছি তাদেরকে হটাতে হবে। কারণ তারা দেশের সম্পদ লুট করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। আজকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদ্যুত খাত থেকে কুইট লুট করেছে। ৩৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত আয়োজনের নামে ১২/১৩ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। তাহলে জনগণের বাকি টাকা গেলো কোথায়? এসবের হিসাব দিতে হবে।

গয়েশ^র বলেন, এই দেশের মালিক ওই আব্দুর রহিম এবং জনগণ। আপনারা (পুলিশ) দেশের বা ভোলার মালিক নন। আপনি সমাবেশে বাধা দেয়া বা গুলি করার কে? প্রতিটি গুলির জবাব আপনাদের দেয়া হবে। আমি বলবো- ঈশ^র তাদের দীর্ঘায়ু করুন যারা গুলি করেছেন। আমরা তাদের নিজ হাতে বিচার করবো।

তিনি আরো বলেন, আমাদেরকে গুলি করবেন, আমরা বসে থাকবো আর সিনেমা দেখবো এটা হবে না। আন্দোলন হবে। সব সংগঠনই একসাথে মাঠে নামতে হবে। রহিম দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। তার থেকে আমাদেরকে শিক্ষা নিয়ে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদেরকে সমুচিত জবাব দেয়া হবে। তাদেরকে বিতাড়িত করা ছাড়া উপায় নেই।

গয়েশ^র চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা আছে। আমাদের মধ্যেও অনেক দালাল আছে। সুতরাং এই সরকারের পতন নিশ্চিত ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। এই সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে হারানোর শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করে আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

তিনি বলেন, সীমান্তে প্রায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সেখানে আমাদের দেশের মানুষ মারা যান। সেখানে তো মানুষ রক্ষার জন্য গুলি ফোটেনা। কিন্তু বিএনপির সমাবেশে তারা গুলি ছোঁড়ে। আসলে দুর্নীতিবাজ ও লুটেরারা কখনো জনগণের পক্ষে থাকে না। তারা দেশের প্রতি দায়িত্বশীল হয় না। এই বাংলাদেশে কারো দয়ার দান নয়। সুতরাং এই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। সুতরাং বাংলাদেশকে তার আগের জায়গায় ফিরে নিতে হবে। যা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন ‘টেইক ব্যাক বাংলাদেশ’। প্রয়োজনে রহিমের মতো আমাদেরকেও রক্ত দিতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, যারা নিয়মের বাইরে ও আইনের বিরুদ্ধে কাজ করে তাদের ঠিকানাও কিন্তু আমরা জানি। তাদের টাকায় আমার সংসার চলে না। আমাদের টাকায় ওদের সংসার চলে। সুতরাং আমাদেরকে শহিদের রক্তের বদলা হলো গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সারোয়ার, আনু মো: শামীম, ফখরুল ইসলাম রবিন, সাদরাজ্জামান, এসএম জিলানী, মো: নাজমুল হাসান, গাজী রেজওয়ানুল হক রিয়াজ, কাজী ইফতেখায়রুজ্জামান শিমুল প্রমুখ। এছাড়া অধ্যাপক ইমতিয়াজ বকুল, আবুল কালাম আজাদ, নেছার আহমেদ, রফিক হাওলাদার, ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সর্দার মো: নূরুজ্জামান, মজিবুর রহমান, নিয়াজ মাখদুম মাসুম বিল্লাহ, মো: হারুন অর রশিদ, প্রকৌশলী সাহাবুদ্দিন সাবু, মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ