Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকারি নথিতে তিনি মৃত!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৪ এএম

ভারতের উত্তরপ্রদেশের ঘটনা এবার হরিয়ানার হিসারে ঘটেছে। বিজেপি সরকারের বদৌলতে বেঁচে থেকেও এক বৃদ্ধা মরে গেলেন! কাগজকলমে বৃদ্ধা ফুলা দেবীর ‘মৃত্যু’ হয়েছে। এই ঘটনা যেন উত্তরপ্রদেশের লালবিহারীর ‘মৃত্যুর’ ফোটোকপি।

সরকারের নথি বলছে, হিসাবের পুথিসামাইন গ্রামের ফুলা দেবীর ‘মৃত্যু’ হয় গত ১৫ এপ্রিল। বাস্তবে তিনি জীবিত এবং চলাফেরা করার পাশাপাশি কাজকর্ম করছেন। প্রতিদিনই দেখা হয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে। কিন্তু গত ৬ মে ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়ে অশীতিপর বৃদ্ধা জানতে পারেন ‘তার মৃত্যু হয়েছে’।
এরপরই ফুলা দেবী নিজে জেলার সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি জানান। অভিযোগ দায়ের করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। তবে এখনও সরকারি নথিতে বৃদ্ধা জীবিত নন। কীভাবে তার মৃত্যুর ‘খবর’ সরকারি নথিপত্রে রেকর্ড করা হল তা কেউই বলতে পারছে না।

বৃদ্ধার ছেলে শুভরাম পানু জানিয়েছেন, ‘মৃত্যুর’ খবর নথিভুক্ত হওয়ায় আপাতত তিনি বয়স্ক নাগরিকের ভাতাও পাচ্ছেন না। দু’মাসের বেশি সময় কেটে গেলেও এই সঙ্কটের কোনও সুরাহা হয়নি। অর্থাৎ কাগজকলমে এখনও ‘প্রাণ ফিরে পাননি’ ফুলা দেবী। ফলে এখনও বন্ধ রয়েছে পেনশন।

উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা, পেশায় কৃষক ও সমাজকর্মী লালবিহারীর সঙ্গে এমনটাই ঘটেছিল। ১৯৭৪ সালে হঠাৎই একটি কাজে সরকারি দফতরে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তিনি ‘মৃত’। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২০ বছর লড়াই চালিয়ে আইনের চোখে নিজেকে ‘জীবিত’ প্রমাণ করেন তিনি। যার জন্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও স্বীকৃতি পেয়েছে তার লড়াই। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, পিপা নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ