পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী বছরের জুন পর্যন্ত দেশের সব ব্যাংকের গাড়ি কেনা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি অ্যাপায়ন, ভ্রমণ, আসবাব ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কেনার খরচও অর্ধেক করে দেয়া হয়েছে। গতকাল এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ। এর আগে গত মঙ্গলবার সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যাংকের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যাংকের খরচ কমানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। পরপর দু’দিন ব্যাংকের খরচ কমাতে দুই নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, ব্যাংকগুলোতে নতুন বা প্রতিস্থাপন হিসেবে সব প্রকার যানবাহন কেনা বন্ধ থাকবে। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন খাতে পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় স্থগিত বা কমানো সরকারি সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। ২০২২ সালের বাকি ছয় মাস (জুলাই-ডিসেম্বর) এবং ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাস (জানুয়ারি-জুন) পর্যন্ত ব্যয় স্থগিত বা কমানোর জন্য ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ব্যাংকে যানবাহন কেনা স্থগিত হলেও জরুরি কিছু ক্ষেত্রে ব্যয় করা যাবে। তবে তা বরাদ্দ করা অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ। এর বেশি নয়। এসব ক্ষেত্র হলো আপ্যায়ন, ভ্রমণ, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, এছাড়া আসবাবপত্র ও অন্যান্য মনিহারি খাত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মোতাবেক সাশ্রয় করা অর্থ অন্য কোনো খাতে বরাদ্দ বা ব্যয় করা যাবে না। নির্দেশনা অনুসারে ব্যয় কমানো সংক্রান্ত তথ্য ও দলিলাদি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শকদের চাহিদার অনুযায়ী সেই তথ্য সরবরাহ করতে হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
এদিকে শুধু ব্যাংকই নয়; এবার ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও একই নির্দেশনা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেয়। নির্দেশনার চিঠিটি সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো হয়েছে। এরআগে গত মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোর প্রতিও একই নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে দেয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে ২০২২-২৩ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের কতিপয় ব্যয় সাশ্রয়/হ্রাসকরণ প্রসঙ্গে সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, বাজেট অনুবিভাগ-১, অধিশাখা-১-এর নির্দেশনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এ নির্দেশনা দেয়া হলো।
এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সর্বোচ্চ যত্নবান হতে হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দকৃত অর্থের ন্যূনতম ২৫ শতাংশ সাশ্রয় করতে হবে এবং বর্ণিত খাতসমূহে বরাদ্দকৃত অর্থ অন্য কোনো খাতে পুনরায় উপযোজন করা যাবে না। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩-এর ১৮(ছ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।