মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ক্যান্ডি খেতে কে না ভালোবাসে। এবার সেই ক্যান্ডি খাওয়ার জন্য যদি টাকাও পাওয়া যায়, তাহলে বিষয়টি কেমন হবে! হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। কাজ শুধু ক্যান্ডি খাওয়া। আর এর জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বেতন দেবে কোম্পানি। এই বেতনের পরিমাণও আবার বছরে ৯৪ লাখ টাকারও বেশি। শুনতে অবাক লাগলেও ক্যান্ডি খাওয়ার বদলে বিপুল টাকা উপার্জনের এই সুবর্ণ সুযোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এক ক্যান্ডি বিপণন সংস্থা। গত ২১ জুলাই এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স২৯। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো তথা উত্তর আমেরিকার সর্ববৃহৎ অনলাইন ক্যান্ডি বিপণন সংস্থা হচ্ছে মার্কিন কোম্পানি ক্যান্ডি ফানহাউস। সম্প্রতি এই সংস্থাটি চিফ ক্যান্ডি অফিসার (সিসিও) পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন এই বিপণন সংস্থাটি পাঁচ বছর বা তার বেশি বয়সীদের সিসিও পদে নিয়োগ করার কথা জানিয়েছে। এই পদের অর্থাৎ চিফ ক্যান্ডি অফিসার (সিসিও)-র জব ডিউটি বা কাজ শুধুমাত্র ক্যান্ডি টেস্ট করা। শিশুরা বিনামূল্যে যে কেবল অগণিত ক্যান্ডি খাওয়ার সুযোগ পাবে তাই নয়, এর জন্য পারিশ্রমিকও দেওয়া হবে তাদের। সিসিও পদে নিযুক্তদের বার্ষিক এক লাখ মার্কিন ডলার বেতন দেবে ফানহাউস। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৯৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সংবাদমাধ্যম বলছে, নিয়োগের পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সংস্থার একটি ইউনিটের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হবে। ‘ক্যান্ডিওলজিস্ট’-র একটি টিম লিড করবে তারা। এর পাশাপাশি ক্যান্ডি বোর্ড মিটিংয়ের আয়োজন করতে হবে নিযুক্তদের। তবে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে একটাই শর্ত, আর তা হলো- ক্যান্ডির প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা থাকতে হবে। এছাড়া চিফ ক্যান্ডি অফিসারের কাজের দায়িত্বগুলোর (জব ডিউটি) মধ্যে আরও রয়েছে, মাসে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি ক্যান্ডি খেয়ে পণ্যের স্বাদ-পরীক্ষা করতে হবে। কাজের তালিকায় বলা হয়েছে, ‘আপনি কি ক্যান্ডি এবং চকোলেট জাতীয় সব কিছু পছন্দ করেন? আপনি কি মিষ্টান্ন খাবার এবং অপ্রকাশিত ও বিদ্যমান পণ্যগুলো অন্বেষণের বিষয়ে উৎসাহী? যদি তাই হয়, তাহলে এটি আপনার জন্য পারফেক্ট চাকরি! প্রার্থীকে প্রশিক্ষণ এবং অন্য আরও অনেক সুবিধা দেওয়া হবে।’ মার্কিন কোম্পানি ক্যান্ডি ফানহাউস বলছে, চিফ ক্যান্ডি অফিসার (সিসিও) পদে নিয়োগের জন্য কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। তবে প্রার্থীকে ক্যান্ডি, পপ সংস্কৃতি এবং মিডিয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হতে হবে। চাকরিতে যোগদানের পর নিয়োগপ্রাপ্তদের বাড়িতে থেকে কাজ করতে হবে (ওয়ার্ক ফ্রম হোম)। তবে চিফ ক্যান্ডি অফিসারকে কানাডার টরন্টো বা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির নিউয়ার্কের বাইরে থাকতে হবে। অবশ্য এই চাকরির জন্য বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের লোক আবেদন করতে পারবেন না। চিফ ক্যান্ডি অফিসার (সিসিও) পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে বয়স পাঁচ বছর বা এর বেশি হতে হবে এবং প্রার্থীকে অবশ্যই উত্তর আমেরিকার (কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র) বাসিন্দা হতে হবে। তবে এই ক্যান্ডি টেস্টারের পদে পাঁচ বছরের শিশু থেকে এর বেশি বয়সীদের নিয়োগ করার বিষয়ে মুখ খুলেছেন সংস্থার সিইও জামাল হেজাজি। তিনি জানিয়েছেন, ‘ক্যান্ডির প্রতি ভালোবাসা কোনো বয়সের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আমরা এরকম কয়েকজন নেতৃত্বের খোঁজ করছি যারা ক্য়ান্ডি সম্পর্কে অভাবনীয় চিন্তাভাবনার প্রতিফলন ঘটাতে পারে। আমরা সৃষ্টিশীলতার খোঁজ করছি।’ ফক্স২৯।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।