Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নওগাঁ থানায় সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহিত

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২২, ৮:০৩ পিএম

নওগাঁ সদর ভডেল থানায় জিডি করতে ডিউটি অফিসারের হাত পা ধরে অনুরোধ না করায় এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। হাত পা ধরতে হবে কেন এই প্রতিবাদ করায় তার ঘাড় ধরে থানা হাজতে নেয়ার জোর চেষ্টা করে। এ ছাড়াও তার মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। অপরদিকে সকল সাংবাদিককে থানার দালাল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশের এই ঔদ্ধর্তপূর্ণ আচরনের প্রতিবাদে প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক জরুরীসভায় জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
জানা গেছে নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য দৈনিক জবাবদিহী ও আমার বার্তা জেলা প্রতিনিধি রাসেল রানা তার এক আত্মীয়কে সাথে নিয়ে রবিবার বেলা সাড়ে ১২. টায় পাসপোর্ট হারানো বিষয়ক একটি সাধারন ডাইরী করতে যান। এ সময় ডিউটি অফিসার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন এ এস আই আল আমীন। সেখানে কনষ্টেবল তহুরা এবং কনস্টেবল মুমিন ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে জিডি নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে কনষ্টেবল তহুরা বলে যে, স্যারের হাত পা ধরে অনুরোধ করলে মন ভালো হলে জিডি নিতেও পারেন। এ কথা শুনে হতবাক রাসের রানা বলে জিডি করা সাধারন মানুষের অধিকার। কেন জিডি নিবেন না। এটি পুলিশের সাথে তর্কের সামিল উল্লেখ করে উক্ত ডিউটি অফিসার আল আমীন ও কনষ্টেবল মুমিন রাসেল রানার ঘাড়ে হাত দিয়ে থানা হাজতের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। এ সময় ওসি তদন্ত সেখানে এসে জানতে চান।ডিউটি অফিসার মিথ্যা বলে রাসেল থানার ভিতরে উত্তেজিত হয়ে কথা বলেছে। তখন রাসেলের পরিচয় জানতে চান ওসি তদন্ত। সাংবাদিক পরিচয় বিশ্বাস না হওয়ায় প্রেসক্লাবের সভাপতির নিকট মোবাইলে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে জিডি গ্রহণের নির্দেশ দেন।
জিডি নেয়ার পর মুমিন নামের ঐ কনষ্টেবল আস্ফালন করে বলে সকল সাংবাদিক থানার দালাল। তাদের কাজ না করে দেয়ায় ভালো। রাসেল সে কথার প্রতিবাদ করে চলে আসেন।
এদিকে সন্ধ্যায় উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবে এক জরুরীসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পুলিশের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। এ ছাড়াও অতি সত্বর এই ঘটনার বিরদ্ধে কোন ব্যবস্থা গৃহিত না হলে পুলিশের সাথে সাংবাদিকরা কোন সম্পর্ক রাখবে কিনা তা ভেবে দেখবে। পুলিশের সকল অনুষ্ঠান বর্জন ও যে কোন সংবাদ প্রকাশ বন্ধ রাখা হবে বলেও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ