মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনওয়ার কোহিস্তান জেলায় প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৫০টি বাড়িঘর ভেসে গেছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রদেশের জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র দাসু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের।
পাকিস্তান সরকারের দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা বিভাগের খাইবার পাখতুনওয়া শাখার বরাত দিয়ে দেশটির জাতীয় দৈনিক ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের দিন রোববার থেকে প্রাদেশিক রাজধানী পেশোয়ারসহ প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সোমবার কোহিস্তান জেলার কানদিয়া তহসিলের (উপজেলা) দু’টি গ্রামে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। তার ফলেই ঘটেছে এই ক্ষয়ক্ষতি।
কানদিয়া তহসিলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিয়াজ বলেছেন, উদ্ধার তৎপরতা চালানো ও লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে প্রশাসনের উদ্যোগে রোববারই ৫টি উদ্ধারকারী দল গঠন করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে উপদ্রুত এলাকায় কাজ শুরু করেছে সেসব দল।
‘গত ২৪ ঘণ্টার দুর্যোগে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২ জন আহত হয়েছেন। কেউ নিখোঁজ হয়েছেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায় নি,’ ডনকে বলেন মুহম্মদ রিয়াজ।
তবে কানদিয়ার স্থানীয় লোকজনের দাবি, তহসিলের অন্তত ৪ টি গ্রাম বন্যা উপদ্রুত এবং প্রায় ১০০ বাড়িঘর ভেসে গেছে বন্যায়। ফলে এই চারটি গ্রামে প্রায় হাজারেরও বেশি মানুষ এখন সম্পূর্ণ আশ্রয়হীন।
হাফিজ উর রেহমান নামে স্থানীয় এক মানবাধিকারকর্মী ডনকে বলেন, কানদিয়া তহসিলের দানশ, বেরতি, জাশোই ও ডাঙ্গোই— এই চার গ্রামে দেখা দিয়েছে বন্যা। বন্যা আসার আগেই এসব গ্রামের অধিকাংশ লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ায় হতাহত এড়ানো সম্ভব হয়েছে, বিপুল সংখ্যক গৃহপালিত পশুর মৃত্যু হয়েছে।
তবে কানদিয়া তহসিলের আরেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা আজিজ খান জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ইতোমধ্যে তাঁবুসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে কোহিস্তানের দাসু এলাকায় চীনের অর্থায়নে যে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, প্রবল বর্ষণ ও বন্যায় সেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কিছু ভারি যন্ত্রপাতি ভেসে গেছে বলে ডনকে নিশ্চিত করেছেন প্রকল্পের সহকারী কমিশনার হাফিজ ওয়াকার আহমেদ।
বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে উচার নালা এলাকায় সেসব যন্ত্রপাতির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কোহিস্তানের বড় এলাকা বর্তমানে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। সূত্র : ডন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।