গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
একজন সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা কক্সবাজারের টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কায়সার খসরুকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, তাকে (টেকনাফের ইউএনও) ওএসডি করার নির্দেশ দিয়েছি। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
মাঠপ্রশাসনে কাজ করা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ উঠছে। সেদিন টেকনাফের ইউএনও যে ভাষায় একজন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছেন, তা অগ্রহণযোগ্য। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘দেশে ৪৯২টি উপজেলা। পাঁচশ লোকের (ইউএনও) মধ্যে সবাই ভালো হবে সেটা আপনি আশা করেন কীভাবে। তাকে আমরা ওএসডি করার নির্দেশ দিয়েছি। এরপর আদালত তার বিরুদ্ধে কী নির্দেশনা দেন সে অনুযায়ী অ্যাকশন নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে বলে দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমি গতকাল বিভাগীয় কমিশনারদের সম্মেলনে শক্তভাবে বলেছি, কমিশনরারা যে জেলায় যাবেন সব অফিসারকে নিয়ে বসবেন, তাদের আচার-আচরণ, চালচলন... এটা তো সাংবাদিকদের বিষয় নয়। এই ভাষায় তো আপনি কারও সঙ্গে কথা বলতে পারেন না। আপনি যত ম্যানেজমেন্টে থাকবেন, যত উপরের দিকে থাকবেন তত মাথায় রেখে কথাবার্তা বলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নিয়ে খবর প্রকাশের জেরে কক্সবাজারের সাংবাদিক সাইদুল ফরহাদকে দাপ্তরিক মুঠোফোন নম্বর থেকে কল করেন ইউএনও কায়সার। তিনি খবর প্রকাশের কারণ জানতে চেয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। ঘটনাটি ২১ জুলাই রাত পৌনে ১০টার। গালাগালের একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।
গালাগালের অডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন ইউএনও কায়সার খসরু।
পরে রোববার ইউএনও কায়সার খসরুর ভাষা মাস্তানের চেয়েও খারাপ বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সাংবাদিককে ইউএনও’র অকথ্য ভাষায় গালাগাল দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য বলে জানান সর্বোচ্চ আদালত। হাইকোর্ট বলেছেন, একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির মুখে এমন অশ্লীল শব্দ কাম্য নয়।
এরপর ইউএনও’র গালাগালের ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সঙ্গে কথা বলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিককে এ তথ্য আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।