Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশে বিদ্যুৎ-সঙ্কটের মূল কারণ পুরোপুরি আমদানিনির্ভরতা

মিডিয়া ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক ম তামিম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

হঠাৎ করে লোডশেডিংয়ে সিদ্ধান্ত এবং প্রচণ্ড গরমের মানুষের দুর্বিসহ অবস্থার জন্য আমলাদের অদূরদর্শি সিদ্ধান্ত ‘জ্বালানি খাতে আমদানি নির্ভরতা’ দায়ী করছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জ্বালানিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ম তামিম। তিনি বলেন, বিদ্যুতের প্রাথমিক জ্বালানি জোগান না বাড়িয়ে পুরোপুরি আমদানিনির্ভর হওয়ার কারণে বর্তমানে বিদ্যুৎ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) উদ্যোগে গতকাল রোববার আয়োজিত ‘সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ : কতটা ঝুঁকিপূর্ণ’ শীর্ষক আলোচনা ও মিডিয়া ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক ম তামিম বলেন, সরকার বিদ্যুতের প্রাথমিক জ্বালানির জোগান দিতে না পারায় এ সমস্যা হয়েছে। দ্রুতগতিতে বিদ্যুৎ আনার জন্য এক সময় তেলভিত্তিক কুইন রেন্টাল কেন্দ্র স্থাপনের প্রয়োজন ছিল। তবে সেটাকে তিন বা পাঁচ বছর পর্যন্ত রাখার পরামর্শ ছিল। কিন্তু সেটা না করে এখন পর্যন্ত চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ফলে বিদ্যুত উৎপাদনে তেলের ওপর নির্ভরতা অনেক বেড়েছে। আর তেলের ওপর এই নির্ভরতার কারণেই বর্তমান সমস্যা তৈরি হয়েছে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সামষ্টিক অর্থনীতি পরিস্থিতি নিয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন প্রমূখ বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম বলেন, দেশে যখন কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র শুরু হয়, তখন কয়লা ও তেল আমদানি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। একই সময়ে উচিত ছিল নিজেদের গ্যাসের জন্য অনুসন্ধান চালানো। সেটি হয়নি। পরবর্তীকালে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তা-ও অনেক দেরি করে নেওয়া হয়েছে। ২০০০ সালের পর থেকে গ্যাস অনুসন্ধানের রাজনৈতিক সাহস কোনো সরকারই নিতে পারেনি।

বর্তমানে দেশে নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে আছে উল্লেখ করে ম তামিম বলেন, দেশে যেকোনো সময়ে উৎপাদন কমে যেতে পারে। আন্তর্জাতিকভাবে গ্যাস ও তেল আমদানি নিয়ে সংকট তৈরি হতে পারে। তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আগে থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বেশি ছিল। যুদ্ধের কারণে দাম আরও বেড়েছে। তবে ইউরোপ এখন রাশিয়ার ওপর থেকে গ্যাসনির্ভরতা কমাচ্ছে। এ জন্য সারা বিশ্বে যত জায়গায় যত গ্যাস আছে, তা নিতে ইউরোপ হাত বাড়াবে। সে জন্য আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। কারণ, আমরা তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে পারব কি না। পাশাপাশি কয়লার ওপর নির্ভরতা অব্যাহত রাখা ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে। আরেকটি আশা হচ্ছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি। আমাদের এটা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। সার্বিকভাবে সাশ্রয় ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমাদের চাহিদা কমিয়ে আনতে পারি। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিদ্যুৎ

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৮ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ