পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রফতানির জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চুক্তির একদিনের মাথায়ই আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম কমতে শুরু করেছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশেও। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরু পর ইউক্রেনের শস্য রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। যার প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে।
এএফপির সূত্রে জানা গেছে, জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় গেল গত শুক্রবার ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে কৃষ্ণসাগর ব্যবহার করে ইউক্রেনের শস্য রফতানির চুক্তি হয়। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য লেনদেনের বাজার শিকাগোয় প্রতি বুশেল গমের দাম ৫ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ৭ দশমিক ৫৯ ডলারে নেমেছে। এ ছাড়া প্যান-ইউরোপীয় বাজার ইউরোনেক্সটে প্রতি টন গমের দাম ৬ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ৩২৫ দশমিক ৭৫ ডলার হয়েছে। এদিকে গমের উৎপাদন বাড়ার পূর্বাভাসে এক মাসের বেশি সময় ধরে বিশ্ববাজারে কমতে থাকা গমের দাম এ চুক্তির পর আরও এক দফা কমেছে। চুক্তি সম্পাদনের পর প্রতি টন কম আমিষযুক্ত গম আমদানির ব্যয় কমে ৪০০ থেকে ৪০৫ ডলারে নেমেছে। আগে যেখানে ৪২৫ থেকে ৪৩০ ডলার ব্যয় হতো বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এর প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে গত শনিবার প্রতি মণ কম আমিষযুক্ত গমের দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা কমেছে। অবশ্য দেশের বাজারে ভারতের কম আমিষযুক্ত গম বেচাকেনা হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি হয় গেল ১৩ মে, যখন ভারত সরকার গম রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করে। ফলস্বরূপ ভারত থেকে গম আমদানি প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। এদিকে বিশ্ববাজারে গমের দাম যখন ঊর্ধ্বমুখী ছিল, তখন দেশের বাজারে গম প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা আটা-ময়দার দাম আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেড়েছে যায়। কিন্তু গেল এক মাসে আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি পাইকারি বাজারে গমের দাম কমলেও খুচরা বাজারে তার কোনো প্রতিফলন নেই।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত ময়দা ৬২ থেকে ৭০ টাকা এবং আটা ৪৮ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। বছরে ৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন গমের চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। মিশর ও ইন্দোনেশিয়ার পর ইউক্রেন থেকে গমের তৃতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক হচ্ছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন গম আমদানি করে বাংলাদেশ। ইউএসডিএ’র একটি প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট গম আমদানির ৪২ শতাংশই রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে এসেছিল। এ ছাড়া গড়ে প্রতি মাসে দেশে ৫ লাখ টন গম আমদানি হলেও ভারত রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপের পর গেল দুই মাসে সব মিলিয়ে ৫ লাখ টন গম আমদানি হয়েছে। যার ৭৭ শতাংশই ভারত থেকে এসেছে। মূলত পূর্বে খোলা ঋণপত্রের বিপরীতে এসব গম আমদানি হয়েছে। তা ছাড়া এ সময় বিকল্প দেশ থেকে গম কম আমদানি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।