মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ভোট পুনর্গণনার উদ্যোগে বেশ চটেছেন ভোটে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরও বেশি খেপেছেন হিলারি ক্লিনটন এবং তার শিবিরের এতে অংশ নেয়ায়। এই পদক্ষেপকে ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ট্রাম্প। গত শনিবার এক বার্তায় ট্রাম্প তাঁর বিজয়ের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের দাবি জানিয়েছেন। বলেছেন, তাঁর জয়কে চ্যালেঞ্জ এবং কলুষিত করা উচিত হবে না। এবং এই প্রক্রিয়ায় ভোটের ফলাফলেও কোন পরিবর্তন হবে না।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইন উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের ভোট নতুন করে গণনার জন্য দাবি করেন। তিনি এ জন্য যে নির্ধারিত ফি দিতে হয় অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে তা-ও সংগ্রহ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে নতুন করে ভোট গণনার উদ্যোগের কথা জানায় নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, গ্রিন পার্টি ভোট পুনর্গণনার অসম্ভব দাবি তুলে নিজেদের পকেট ভরার চেষ্টা করছে। আর এতে সায় দিচ্ছেন পরাজিত ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়া ডেমোক্র্যাটরা। এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, জনগণ তাঁদের মতামত দিয়েছেন। নির্বাচনের রাতেই হিলারি ফোন করে আমাকে অভিনন্দন জানান এবং হার মেনে নেন। তখন হিলারি বলেছিলেন, আমাদের এই ফলাফল মেনে নিতে হবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
ট্রাম্প আরও বলেন, এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, কয়েক কোটি ভোটারের ভোটে আমরা ৩০৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছি। ১৯৮৮ সালের পরে এটা কোনো রিপাবলিকান প্রার্থীর পাওয়া সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ইলেকটোরাল ভোট। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যান্ত্রিক কৌশলের মাধ্যমে ভোট কারচুপির অভিযোগ ওঠা তিন অঙ্গরাজ্যের মধ্যে প্রথম দফায় উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে ভোট পুনর্গণনার আবেদন জানানো হয়েছে। গত শুক্রবার জিল স্টেইন উইসকনসিনের নির্বাচন কমিশনে আবেদনটি জমা দেন। কারচুপির অভিযোগ ওঠা অপর দুই অঙ্গরাজ্য মিশিগান ও পেনসিলভানিয়ায়ও শিগগিরই ভোট পুনর্গণনার আবেদন করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
হিলারি শিবিরের নির্বাচন-বিষয়ক আইনজীবী মার্ক এলিয়াস বলেছেন, ভোট প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের কারচুপি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য হিলারি শিবির ও এর বাইরের বিশেষজ্ঞরা ফল বিশ্লেষণ করছেন। নির্বাচনে কারচুপির উদ্দেশ্যে কোনো হ্যাকিং করা হয়েছে এমন প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে যে মার্কিনরা হিলারিকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের অনুরোধের কারণে সত্যিই স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোট গণনা হয়েছে কি না, তা জানার জন্য পুনর্গণনা প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে হিলারি শিবির।
প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ৮ই নভেম্বর তিনিই জনপ্রিয় ভোটে জয়লাভ করেছেন, যদি অবৈধভাবে প্রদান করা লাখ লাখ ভোট বাদ দেয়া হয়। টুইটারের মাধ্যমে এই বক্তব্য দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশ্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া এই রিপাবলিকান তার দাবির সপক্ষে কোন প্রমাণ তুলে ধরেন নি। পরে ফলোআপ টুইটে ট্রাম্প আরো লেখেন, নির্বাচনে জিততে যদি ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতির পরিবর্তে জনপ্রিয় ভোট হিসেব করা হত, তাহলে জয় পাওয়া আমার জন্য আরো অনেক সহজ হত। তখন আমাকে ১৫টি রাজ্যের বদলে মোটে ৩-৪টি রাজ্যে প্রচারণা চালালেই হত। গ্রিন পার্টির প্রার্থীর উদ্যোগে উইসকনসিনে যে ভোট পুনর্গননার উদ্যোগ হয়েছে, তাতে পরাজিত ডেমোক্রেটিক প্রার্থী মিসেস ক্লিনটনের শিবির সমর্থন দেবার কথা বলবার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বক্তব্য দিলেন। উইসকনসিনে খুব সীমিত ব্যবধানে জয় পেয়েছেন ট্রাম্প।
ইলেক্টোরাল ভোটের হিসেবে ট্রাম্প নির্বাচনে জিতলেও প্রাপ্ত মোট ভোট সংখ্যা অর্থাৎ জনপ্রিয় ভোটে মিসেস ক্লিনটন ট্রাম্পের চাইতে বহু এগিয়ে রয়েছেন। হিলারি ক্লিনটনের জয় পাওয়া ভার্জিনিয়া, নিউ হ্যাম্পশায়ার এবং ক্যালিফোর্নিয়াতেও মারাত্মক ধরনের ভোট প্রতারণা হয়েছে বলেও অভিযোগ ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তিনি আরো অভিযোগ করেছেন, এই ইস্যু নিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম টু শব্দটি করছে না। রবিবার ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক প্রার্থীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনি পরাজয় মেনে নিয়েছেন এবং প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের বক্তব্যও প্রকাশ করেন যেখানে হিলারি ক্লিনটন বলেছিলেন, ভোটে যে ফলই আসুক তিনি তা মেনে নেবেন। ওই বিতর্কে বরঞ্চ ট্রাম্প হেরে গেলে ফল নেবেন না বক্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন মিসেস ক্লিনটন। বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।