পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্রলীগের হামলায় জবিতে কর্মরত এক সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন আহত সাংবাদিক শাহ আলম বেপারী বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির জবি প্রতিনিধি সোমবার বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্যের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষের কারণে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং সহিংসতা এড়াতে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছবি তুলতে গেলে ছাত্রলীগের হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন গ্রুপের তুর্জ, কামরুল এবং সুমন গ্রুপের ওমরের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্যের সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় ছবি উঠাতে গেলে সাংবাদিক শাহ আলমকে বেধড়ক পেটায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে তার মাথা ফেটে যায়। তাকে মিডফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেন, জুনিয়র ছেলেদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়। আমাদেরকে জানানো হলে আমরা তা সমাধান করার জন্য বসতে চেয়েছি। কিন্তু ওই গ্রুপের ছেলেরা রড ও লাটিসোটা নিয়ে হামলা করে। এতে আমাদের কোনো হাত ছিল না। বরং তারা যেন হামলা না করে সে জন্য আমরা অনুরোধ করেছি। সুমন গ্রুপের কর্মীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা সাংবাদিককে হামলা করিনি। বরং আমরা ওই সাংবাদিককে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছি। হারুন গ্রুপের ছেলেরাই সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছে।
এবিষয়ে লালবাগ ডিভিশনের সহকারী কমিশনার শাহেন শাহ বলেন, একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায় তা মারামারিতে রূপ নেয়। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। গুরুতর কিছু হয়ে থাকলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এনটিভি অনলাইনের জবি প্রতিবেদক শাহ আলম বেপারীর ওপর ছাত্রলীগ কতৃক ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জবিসাস) তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবি করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।