Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জয়ে হিউজ স্মরণ অস্ট্রেলিয়ার

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা গতকাল মাঠে নামলেন বাহুতে কালো ব্যাজ বেঁধে। তাতে লেখা ছিল ‘পিএইচ’। ক্রিকেট সম্পর্কে যারা টুকটাক খোজখবর রাখেন তারা নিশ্চয় ধরে ফেলেছেন ব্যাপারটা। না থেকেও কাল মাঠে ছিলেন ফিলিপ হিউজ। হ্যাঁ, দুই বছর আগে ঠিক এই দিনেই মাথায় বলের আঘাতে প্রিয় ২২ গজের ওপর ঢলে পড়েছিলেন হিউজ। ফেরেননি আর। হারলেই ১৩০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়ার সমীকরণের সামনে অস্ট্রেলিয়া দলকে যেন অলক্ষে থেকেই প্রেরণ দিলেন হিউজ। যে প্রেরণায় সিরিজের শেষ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ৫ ম্যাচ পর জয়ে ফিরল অজিরা।
জয়টা দাপুটে মনে হলেও আদতে এভাবে ঘুরে দাঁড়ানো অজিদের জন্য মোটেও সহজ ছিল না। শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে হোয়াইটওয়াশ হয়ে এসে ঘেরের মাঠে টানা দুই টেস্টে হারের পর কি ওলটপালটই না হলো অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে। সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়ে প্রধান নির্বাচক থেকে সরে গেলেন রনডি মার্শ। আগের একাদশ থেকে একসাথে ৫ খেলোয়াড়কে ছেঁটে অ্যাডিলেড টেস্টে যোগ হলেন ৬ জন। এর মধ্যে তিন জনেরই অভিষেক হয়ে গেল এই টেস্টে। অদৃশ্যে আরো কত ¯œায়ুবিক লড়াই না সইতে হয়েছে এক সময়ের রাজাদের।
এতকিছুর পরও অ্যাডিলেড ওভালে গতকাল ছিল উপচেপড়া দর্শকের ভিড়। অ্যাসেজের রেকর্ড ছাড়িয়ে গতকাল প্রায় ১ লক্ষ ২৬ হাজার দর্শকের সরব উপস্থিতি ছিল দিবা-রাত্রির এই টেস্টে। তাদের সামনেই প্রটিয়াদের দেয়া ১২৭ রানের লক্ষটা ৪১ ওভারে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে চতুর্থ দিনেই পূরণ করল অস্ট্রেলিয়া। লক্ষ্যে পৌঁছার ২ রান আগে স্মিথ আউট না হলে জয়টা আরো হতো দাপুটে। উসমান খাজা এ যাত্রায় শূন্য রানে আউট হলেও প্রথম ইনিংসে অনবদ্য ১৪৫ রানের কারণে ম্যাচের নায়ক তিনিই। ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন ম্যাট রেনশ, আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ৪৭ ও অধিনায়ক স্মিথ করেন ৪০ রান।
এর আগে ৬ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে যায় ২৫০ রানে। ৮১ রানে অপরাজিত থাকা স্টিফেন কুক এদিনও কারো কাছ থেকে সঙ্গ পাননি। শেষ পর্যন্ত শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ওপেনিংয়ে নামা এই ডানহাতি। তবে তার আগে তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক (১০৪)। আগের দিন দুই উইকেট নেয়া মিচেল স্টার্ক এদিনও নেন ২টি। নাথান লায়ন ৩টি ও জস হ্যাজেলউড নেন ২টি করে উইকেট। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্টটা হারের সাক্ষী হয়েই থাকল প্রটিয়াদের কাছে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা : ২৫৯/৯ ডিক্লে. ও ৮৫.২ ওভারে ২৫০ (আগের দিন ১৯৪/৬) (কুক ১০৪, ডি কক ৫, ফিল্যান্ডার ১৭, রাবাদা ৭, শামসি ০* স্টার্ক ৪/৮০, হ্যাজেলউড ২/৪১, বার্ড ১/৫৪, লায়ন ৩/৬০, ওয়ার্নার ০/৫)।
অস্ট্রেলিয়া : ৩৮৩ ও (লক্ষ্য ১২৭) ৪০.৫ ওভারে ১২৭/৩ (রেনশ ৩৪*, ওয়ার্নার ৪৭, খাজা ০, স্মিথ ৪০, হ্যান্ডসকম ১*; অ্যাবট ১/২৬, ফিল্যান্ডার ০/২০, রাবাদা ০/২৮, শামসি ১/৪৯)।
ফল : অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ : ৩ ম্যাচের সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকা ২-১ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : উসমান খাজা (অস্ট্রেলিয়া)।
সিরিজ সেরা : ভার্নন ফিল্যান্ডার (দ.আফ্রিকা)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ