Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওয়ানডে ক্রিকেট বাদ দেওয়ার পরামর্শ ওয়াসিম আকরামের

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০২২, ৫:৫৪ পিএম

ওয়ানডে ক্রিকেট এখন আর প্রাণ খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন ওয়াসিম আকরাম। পাকিস্তানের সাবেক এই কিংবদন্তি তারকার মতে, সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিয়ে এই সংস্করণে খেলেন না এখনকার ক্রিকেটাররা।

খেলতে হবে, স্রেফ এই মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামছে তারা। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্যালেন্ডার থেকে ওয়ানডে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিলেন পাকিস্তানের এই বোলিং গ্রেট।

 

ক্রিকটে ইতিহাসের সেরা ওয়ানডে বোলারদের একজন ওয়াসিম। এই সংস্করণে ৫০০ উইকেট নেওয়া স্রেফ দুই বোলারের একজন তিনি। বাঁহাতি এই পেসারের উইকেট সংখ্যা ৫০২টি। তার চেয়ে বেশি উইকেট মুত্তিয়া মুরালিধরনের, ৫৩৪টি।

 

 

 

পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন ওয়াসিম। ১৯৯২ সালের আসরের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২২ রান হারানো ম্যাচে বড় অবদান ছিল তার। ব্যাট হাতে ৩৩ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। জিতেছিলেন ফাইনাল সেরার পুরস্কার।

 

সেই ওয়ানডে ক্রিকেটকেই এখন বাদ দেওয়ার পক্ষে ওয়াসিম। মূলত দর্শকের আগ্রহ কমে যাওয়া, সঙ্গে ক্রিকেটারদেরও এই সংস্করণের প্রতি নিবেদনের ঘাটতি দেখছেন তিনি। বুধবার ভনি অ্যান্ড টাফার্স ক্রিকেট ক্লাব পডকাস্টে নিজের এই ভাবনার কথা বলেন সাবেক এই পেসার।

 

 

 

তিনি বলেন,‘আমার মনে হয় (ওয়ানডে ক্রিকেট বাদ দেওয়া উচিত)। ইংল্যান্ডে (ওয়ানডে ম্যাচের সময়) স্টেডিয়াম দর্শকে পূর্ণ থাকে। ভারত, পাকিস্তান, বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে ম্যাচে স্টেডিয়াম দর্শকে ঠাসা দেখা যায় না।”

 

 

এছাড়া তিনি বলেন,‘ খেলতে হবে, স্রেফ একারণেই খেলছে ক্রিকেটাররা। প্রথম ১০ ওভার পর অবস্থা হয়, ‘ঠিক আছে, এখন কেবল বল প্রতি রান করি, একটি বাউন্ডারি মারি, চারজন ফিল্ডার ৩০ গজ বৃত্তের মধ্যে আছে, ৪০ ওভারে ২০০-২২০ রানের সংগ্রহ গড়ি।’ শেষ ১০ ওভারে চড়াও হয়ে আরও ১০০ রান করে দলগুলো। গড়পড়তা মানের হয়ে দাঁড়িয়েছে ওয়ানডে ক্রিকেট।”

 

 

 

গত মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। হুট করে তার এমন সিদ্ধান্ত অনেককে হতাশ করলেও ওয়াসিম উপলব্ধি করতে পারছেন পেছনের কারণ।

 

তিনি বলেন,‘তার (বেন স্টোকস) ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্তটি হতাশার, তবে আমি তার পক্ষে। এমনকি ধারাভাষ্যকার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেট এখন আমার কাছে বিরক্তিকর, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি আসার পর। আমি ক্রিকেটার হিসেবেও এটা উপলব্ধি করতে পারছি। দুই ইনিংসে ৫০ ওভার করে, এরপর ম্যাচের আগে, পরে, লাঞ্চের সময় কথা বলা।”

 

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে বলেন,‘টি-টোয়েন্টি সংস্করণ সহজ, চার ঘণ্টায় ম্যাচ শেষ। বিশ্ব জুড়ে লিগগুলোয় অনেক অর্থ পাওয়া যায়। আমি মনে করি, এটিই এখন আধুনিক ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ সংস্করণ। টি-টোয়েন্টি বা টেস্ট ক্রিকেট। ওয়ানডে ক্রিকেট মরে যাচ্ছে।”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ