দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
আত্ম সমালোচনায় আত্মশুদ্ধি ঘটে। আত্মশুদ্ধি আত্মার শান্তির জন্য বড় প্রয়োজন। এভাবে প্রতিটি আত্মা পরিশুদ্ধ হলে বিশ্বে শান্তির হওয়া প্রবাহিত হবে। এ জন্য প্রয়োজন- জাগতিক ও আধ্যাত্মিক জ্ঞান। এ সৃষ্টির মধ্যে মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব তা শুধু জ্ঞান ও মনুষ্যত্বের জন্য।
মানুষ সৃষ্টির মধ্যে শান্তি প্রিয় জীব। কারণ স্রষ্টা নিজেই “শান্তিকামী”। সেদিন শুধু আরব নয়, সারাটা বিশ্ব ডুবে গিয়েছিল জ্ঞানহীন; মনুষ্যত্বহীন এক ঘোর অন্ধকারে। মানবতাহীন রুদ্র রূপ গ্রাস করেছিল সকল মানবীয় গুণবলীকে। তৌহিদের বানী ধূলায় লুন্ঠিত হয়েছিল শত শত দেব-দেবীর চরণ তলে। বিশ্ব মানবতা খুঁজে ফিরছিল শান্তি ও মুক্তি পথ। তৎকালীন সময়ে আরবের অবস্থা ছিল সবচেয়ে বেশী মারাত্মক। তাদের সে অবস্থার কথা আল্লাহ নিজে ব্যক্ত করেছেন এভাবে, “তোমরা তো জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডের প্রান্তঃসীমায় দাঁড়িয়েছিলে, তিনি তা থেকে তোমাদেরকে রক্ষা করলেন।” (আল-ইমরান- ১০৩ আয়াত)
এমনই এক ঘোর সংকটকালে ৫৭০ খৃষ্টাব্দের ২৯শে আগষ্টÑ১২ ই রবিউল আউয়াল, সোমবার রহমতের ওয়াক্তে বিশ্ব মানবের জন্য শান্তি ও মুক্তির বাণী নিয়ে এ মাটির পৃথিবীতে প্রেরিত হলেন আল্লাহর বিশেষ রহমত বা শান্তির দুত “রাহ্মাতুল্লিল আলামিন।” সমগ্র সৃষ্টি আনন্দে গেয়ে উঠলো “রাব্বে সাল্লে ওয়ালা মারহাবা ইয়া রাসুলুল্লাহ।” রাসূল (সাঃ) জন্ম নেবার দুই বছর পূর্ব হতে রবিউল উলামাসে (যা পরে রবিউল আউয়াল) বসন্তের প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছিল না। প্রকৃতিতে চলছিল এক রুদ্র রূপ। অনাবৃষ্টিতে ও অভাবের ফলে মানুষ কঠিন বিপদের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করছিল। অশান্তি বিরাজ করছিল মানুষ আর বিশ্ব প্রকৃতির মধ্যে। কিন্তু যে বছর রাসূল (সাঃ) মা’র গর্ভে আগমণ করেন, সে বছর প্রকৃতি যেন তার সবকিছু উজাড় করে দিচ্ছিলো। আকাশ, বাতাস, বৃক্ষরাজী মাটি এমনকি পশুপাখি ও সবার মাঝে এক অপ্রকাশ্য আনন্দ ও শান্তির হাওয়া বইতে শুরু করে। শান্তির সে বার্তাবাহক হলেন- রাসূল (সাঃ)। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “আল্লাহ তা’আলা প্রদানকারী আর আমি বিতরণকারী।” সৃষ্টির মাঝে আল্লাহ’তালার যত সব রহমত (শান্তি-অনুগ্রহ) বিতরণ করা হবে তা রাসূল (সাঃ) এর মাধ্যমেই হবে।
রাসূল (সাঃ) দুনিয়ায় আগমনের পূর্বে বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে জে.এইচ.ডেনিশন তার ঊগঙঞঞঙঘঝ অঝ ঞঐঊ ইঅঝঊ ঙঋ-ঈওঠওখওতঅঞওঙঘ গ্রন্থে বলেন, পঞ্চম ও ষষ্ঠ শতাব্দীর মানব সভ্যতা ছিল ধ্বংসের গহবরে পতনোম্মুখ। ওসব প্রাচীন আবেগ নির্ভর কালচার যা সভ্যতাকে সম্ভবপর এবং মানুষকে ঐক্য ও সংহতির অনুভুতির সঙ্গে পরিচিত করেছিল। তখন ভাঙ্গিয়া চুরিয়া একাকার হয়ে পড়েছিল। এমন শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল যা কোন ক্রমেই পূরনীয় ছিল না। এমন মনে হত যে, দীর্ঘ চার হাজার বছরের গড়ে উঠা মানব সভ্যতা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে। গোটা মানব জাতি আবারো হিংস্র বন্যতার দিকে ফিরে যাচ্ছিল। মানবতার ঐক্যে ফাটল দেখা দিয়েছিল। গোত্র স¤প্রদায়গুলো একে অন্যের প্রতি ছিল চরম শত্রæতা ভাবাপন্ন। আইন নামক প্রতিটি জিনিসের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে পড়েছিল। খৃষ্টমত যে নতুন রূপ ধারণ করেছিল তা মানবতার জন্য লাভজনক হওয়ার পরিবর্তে মানবতা, ঐক্য ও শৃঙ্খলা ধ্বংস করেছিল। মানবতার ঐ বিশাল মহীরূহ প্রাণ-রসহীন বৃক্ষে পরিণত হয়েছিল, যা এককালে সারা বিশ্বকে তার ছায়ায় ঢাকিয়া রাখিত। ফুল ও শুকাইয়া গিয়াছিল। এর শিকড় পর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল অন্তঃসার শূন্য। আরবদের মাঝে এক ব্যক্তি জন্ম নিলেন। যিনি পূর্ব ও দক্ষিণের সমগ্র জানা পৃথিবীকে ঐক্যবদ্ধ করে দিলেন। সেই মানুষটি ছিলেন মোহাম্মদ (সাঃ)। (দ্রঃ অমুসলিম মনীষীদের চোখে আমাদের প্রিয় নবী-পৃঃ২)
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য রাসূল (সাঃ) যে বিষয়গুলোকে অবলম্বন করে তার সমাধান করেছেন-তা’হল ব্যক্তি জীবনে শান্তি, পারিবারিক জীবনে শান্তি, সমাজ জীবনে শান্তি, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শান্তি ও বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে অর্থাৎ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা। এ জন্য তিনি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শান্তি স্থাপনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ও স্থাপন করেছেন। তাই উম্মুল মোমেনিল হযরত আয়েশাকে রাসূল (সাঃ) এর জীবনাদর্শ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “তোমরা কি কোরআন পড়নি? আল-কোরআনই তার জীবনাদর্শ।
শিশুকাল থেকেই তার মাঝে এ সুন্দর আদর্শ পরিস্ফুটিত হয়ে উঠে। মহানবী (সাঃ) শিশুকালে দুধমাতা হালিমার একটি স্তনে দুধ পান করে অপরটি দুধ ভাইয়ের জন্য রেখে ভাতৃত্ব ও সাম্যের যে অভূতপূর্ব নজীর রেখে গেছেন তা বিশ্বের সর্বকালের জ্ঞানী ও চিন্তাশীল মানুষের জন্য অনুসরণীয় এবং ব্যক্তি ও পরিবার জীবনে শান্তির জন্য অপরিহার্য।
রাসূল (সাঃ) যে ভবিষ্যৎ জীবনে শান্তি স্থাপনের অগ্রদূত হবেন তার বাল্যকালের একটা ঘটনা থেকে তার পূর্বাভাস পাওয়া যায়। বাল্যকালেও কাজ মেলায় জুয়া খেলা, ঘোড়া দৌড় ও কাব্য প্রতিযোগিতা নিয়ে এক ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধ “হব্বুলফোজ্জার” বা অন্যায় যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধ পাঁচ বৎসরকাল স্থায়ী হয় এবং হাজার হাজার লোক প্রাণ হারায়, আহতপুঙ্গ হয়। যেহেতু এই যুদ্ধ কুরাইশ ও কায়েশ বংশের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল, তাই রাসূল (সাঃ) তার পিতৃব্যের সাথের ঐ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে বাধ্য হন। তবে তিনি কার্যতঃ যুদ্ধ করেন নাই। পিতৃব্যদের সাথে থেকে তাদেরকে তীর কুড়াইয়া দিতেন মাত্র। কিন্তু এই যুদ্ধের ভয়ঙ্কর রূপ তাকে দারুণ ভাবে ব্যথিত করে। তিনি যে শান্তির নবী হতে যাচ্ছেন। তাই যুবকদের নিয়ে একটা “শান্তি কমিটি” গঠন করেন। যার উদ্দেশ্য গরীব, অসহায়, শান্তি প্রিয় মানুষকে ধনীদের ও সবলদের হাত থেকে রক্ষা করা এবং যাতে আগামীতে এ ধরণের যুদ্ধ না হয় তার চেষ্টা করা। ইতিহাসে এটা “হিলফুল ফুজুল” বা শান্তি সংঘ নামে পরিচিত। মোহাম্মদ (সাঃ) তার এ যুবক বয়সে “হিলফুল ফুজুল” গঠনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইতিহাসে সর্ব প্রথম সাংগঠনিক ভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠার সূচনা করলেন। আধুনিক বিশ্বের জাতি সংঘের সনদ যেন অনেকটা ‘শান্তি সংঘের’ অনুসরনেই প্রণীত হয়েছে।
প্রাক-ইসলামিক যুগ থেকে আরব বিশ্বের মানুষ সাথে অস্ত্র রাখত। রাসূলের জন্মের পূর্বে ঐতিহাসিক গীবনের মতে, আরবে ১৭০০ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। শান্তির নবী মোহাম্মদ (সাঃ) সমগ্র বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই প্রেরীত হয়েছিলেন তা তার নব্যুয়ত প্রাপ্তির পূর্বের আর একটা ঘটনা থেকে থেকে বোঝা যায়।
পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে রাসূল (সাঃ) পুনরায় আর একটা যুদ্ধের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করেন। কা’বা সংস্কার কাজ চলছিল। সংস্কার কাজের জন্য কা’বা ঘরে সংস্থাপিত হাজরে আস্ওয়াদ বা কালো পাথর খানা সরিয়ে রাখা হয়। সংস্কার শেষে যথাস্থানে পাথরখানা পুনরায় সংস্থাপন নিয়ে দলপতিদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। প্রস্তর খানার সাথে সামাজিক মর্যাদা ও কুলগত প্রাধান্যের সম্বন্ধ ছিল। কাজেই প্রত্যেক গোত্রই উহা তুলিবার জন্য ব্যগ্র হয়ে উঠল। প্রথমে বচসা, তারপর তুলুম দ্ব›দ্ব-কোলাহল আরম্ভ হল। চারদিন এভাবে কেটে গেল; কিন্তু কোনই মিমাংসা হলো না।
তখন, চিরাচরিত প্রথানুসারে সকলে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হলো। যুদ্ধ যখন একেবারে অনিবার্য হয়ে উঠল, তখন জ্ঞানবৃদ্ধ আবু উমাইয়া সবাইকে ডেকে বললেন, “ক্ষান্ত হও” আমার কথা শোন্ সামান্য কারণে কেন রক্তপাত করবে? ধৈর্য ধরে অপেক্ষা কর। আমার প্রস্তাব, যে ব্যক্তি পরবর্তী দিন সকালে সর্বপ্রথম কা’বা শরীফের চত্ত¡রে আসবে তার উপরই হাজরে আস্ওয়াদ সংস্থাপন সমস্যাটি মীমাংসার ভার প্রদান করা হবে। বিষয়টি গোপন রেখে নেতৃবৃন্দ সারারাত ধরে অপেক্ষাকরতে লাগল। সুবহ্সাদিকের সময় সবাই দেখল একজন চাদর আচ্ছাদিত ব্যক্তি কা’বা চত্ত¡রে প্রথম প্রবেশ করছেন। ছুটে গেল সবাই তার কাছে এবং সমস্বরে বলে উঠল এই তো আমাদের আল-আমীন। ইনি যা মীমাংসা করবেন আমরা সবাই তা মেনে নেব। রাসূল (সাঃ) তখন তরুন যুবক মাত্র। কিন্তু তবুও মক্কাবাসীর কি অগাধ বিশ্বাস তার উপর। রাসূল (সাঃ) কে তারা সমস্ত ব্যাপার বুঝিয়ে দিল। তখন তিনি বললেন, “বেশ ভাল কথা। যে সকল গোত্র কালো পাথর তোলার দাবী করছে, তাদের প্রত্যেকের নিজেদের মধ্যে থেকে এক একজন প্রতিনিধি নির্বাচন করুন।” তা করা হলো। তখন রাসূল, সেই প্রতিনিধিদেরকে সঙ্গে নিয়ে কালো পাথরের নিকট উপস্থিত হলেন। তিনি নিজের চাদর বিছিয়ে দিয়ে নিজে সেই পাথরটিকে তার মধ্যস্থলে স্থাপন করলেন। তারপর প্রতিনিধিদের কে বললেন; “এবার আপনারা প্রত্যেকেই এই চাদরের এক এক প্রান্ত ধরে হাজরে আসওয়াদ কে যথাস্থানে স্থাপন করেন।” সকলে তাই করলেন। তখন তিনি তা নিজ হাতে যথাস্থানে স্থাপন করলেন। এভাবে সেদিন রাসূল (সাঃ) এর অসাধারণ প্রতিভা ও উপস্থিত বুদ্ধি ও সর্বজনগন্য আদর্শের কারণে একটি গৃহযুদ্ধের হাত হতে মক্কবাসী রক্ষা পেল। শান্তির হাওয়া প্রবাহিত হলো।
মোহাম্মদ (সাঃ) বড় শান্তিদাতা ছিলেন। একদিন তিনি চাদর পরিধান করে নামায পড়তে যাচ্ছিলেন। এমন সময় একজন বেদুইন এসে পিছন হতে তার চাদর জোরপূর্বক আকর্ষণ করল। এতে তার গন্ডদেশ পেষিত হয়ে ব্যথাযুক্ত হল। তিনি শান্ত ভাবে বেদুইনকে জিজ্ঞাসা করলেন, কেন তুমি এরূপ করছ? সে বলল, আমার একটা বিশেষ প্রয়োজন আছে; আপনি তা পূর্ণ করুন। এ কথা শুনে রাসূল (সাঃ) নামায পড়া স্থগিত রেখে উক্ত বেদুইনের কার্য সমাধা করলেন। এ থেকে সম্যক উপলব্ধি করা যায় যে, তিনি মানব কল্যাণে কত বড় সহায়ক এবং শান্তিকামী চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। তিনি পরমেশ্বরের উপাসনা তথা নামায অপেক্ষা ও মানবের উপকার সাধন করাকে অগ্রাধিকার দিতেন। (দ্রঃ সংসার গুরু পৃ ঃ ৬০, বাবা আলীম দাস)।
তিনি সকল জীবকে সুখ শান্তি দান করতেন। কেবল মানব নহে; চতুস্পদ জন্তু পর্যন্ত প্রত্যেকের সুখ-শান্তির প্রতি দৃষ্টি রাখতেন। তিনি পূর্বকালে প্রচলিত পশুর কানকাটা এবং লেজ কাটার রীতিকে বন্ধ করে দেন। সওয়ারী জন্তুর উপর লাগাম বা জিন বাঁধিয়া অযথা হয়রানি করতে নিষেধ করেন।
সেই যুগে কন্যা জন্ম গ্রহণ করলে তাকে জীবন্ত মাটিতে প্রথিত করা হত। তিনি সর্ববাধা-বিঘœ উপেক্ষা করে কঠোর ভাবে উক্ত অমানবিক প্রথা লোপ করে দেন। এই ঐতিহাসিক বহু ঘটনা দ্বারা প্রমাণ হয় যে, তিনি একমাত্র “শান্তি দাতা” ছিলেন। (দ্রঃ বেদ ও পুরানে আল্লাহ ও হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ড. বেদ প্রকাশ উপাধ্যয়)।
মদীনায় হিজরতের পূর্বে মদীনার সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় ছিল। মদীনায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার মত কোন কেন্দ্রিয় সরকার ছিল না। সুষ্ঠু ও সুন্দর সামাজিক জীবনের ধারণা বোধ তাদের নিকট ছিল না। মদীনায় বসবাসকারী স্বার্থপর ইহুদিদের চক্রান্তে মদীনার আউস ও খাযরাজ স¤প্রদায় ”বুয়াস” নামে এক রক্তক্ষয়ী ভয়াবহ যুদ্ধে কয়েক যুগ ধরে লিপ্ত ছিল। ফলে দেশে অশান্তির আগুণ জ্বলছিল। রাসূল (সাঃ) এর নিকট এই দুই স¤প্রদায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। হযরতের নেতৃত্বে তারা সাম্য ও ভাতৃত্বের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে শান্তির নতুন জীবন লাভ করে। বিশৃঙ্খলা এবং অশান্তির পরিবর্তে মদীনায় শান্তির সমীরণ প্রবাহিত হয়। তাই বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় মোহাম্মদ (সাঃ) এক অসাধারণ নাম এক অনন্য ব্যক্তিত্ব যার তুলনা নাই।
লেখক: নাজীর আহ্মদ জীবন, কুষ্টিয়া ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।