পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুদ্রাস্ফীতি, অবাধ্য মিত্র ও বিদ্বেষপূর্ণ রাজনীতিতে নিমজ্জিত যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যতদিন প্রয়োজন হবে, ইউক্রেনকে সমর্থনের প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। মে মাসে কংগ্রেস একটি ৪০ বিলিয়ন সম্প‚রক বাজেট পাস করেছে, যা বাইডেনের প্রনীত প্রস্তাবের থেকেও বেশি এবং ইউক্রেনকে সহায়তা ও যুদ্ধের বৈশ্বিক পরিণতি মোকাবেলার জন্য বেশিরভাগ ইউরোপীয় মিত্রদের বার্ষিক প্রতিরক্ষা বাজেটের চেয়েও বেশি। কিন্তু ইউক্রেন সঙ্ঘাত শুরুর প্রায় ছয় মাসের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং উচ্চ জ্বালানি মূল্য মার্কিন নাগরিকেদের ব্যয়ের ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিয়েছে। ফলে, এই মুহুর্তে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়েও বেশি অজনপ্রিয়।
ট্রাম্প ইউক্রেনের জন্য শেষ সহায়তা প্যাকেজের নিন্দা করে বলেছেন, ‘ডেমোক্র্যাটরা ইউক্রেনে আরও ৪০ বিলিয়ন ডলার পাঠাচ্ছে, অথচ যুক্তরােেষ্ট্রর পিতামাতারা এমনকি তাদের বাচ্চাদের খাবার যোগাড়ের জন্য লড়াই করছে।’ এই মনোভাব তার ভিত্তি শক্তিশালী করতে পারে যদি তিনি ২০২৪ সালে আবার প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরমধ্যে, ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভ‚ত রিপাবলিকান ভিক্টোরিয়া স্পার্টজ, যিনি দেশটিতে আরও সিদ্ধান্তম‚লকভাবে কাজ করার জন্য বাইডেনকে অনুরোধ করেছিলেন, সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সহযোগীদের বিরুদ্ধে ঢালাও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন। এদিকে, একটি দীর্ঘ যুদ্ধের সম্ভাবনার মধ্যে এমনকি বাইডেনের ঘনিষ্ঠ মিত্ররাও আশঙ্কা করছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র শিগগিরই দীর্ঘ যুদ্ধের বোঝায় ক্লান্ত হয়ে পড়বে। ডেমোক্র্যাট সিনেটর এবং বাইডেনের ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে অভিহিত ক্রিস ক্ন্সু সম্প্রতি গত মাসে মাদ্রিদে তার শীর্ষ সম্মেলনে ন্যাটোর ঐক্য প্রদর্শনের প্রশংসা করে একটি লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘যুদ্ধ চলার সাথে সাথে মার্কিন জনগণ এবং এর নির্বাচিত নেতাদের এপথে চলার প্রতিশ্রæতি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’ তিনি ১৪ই জুলাই দ্য ইকোনমিস্টকে বলেন, ‘রাশিয়ার নেতা ভøাদিমির পুতিন পশ্চিমের আগ্রহ হারানোর অপেক্ষায় করছেন।
ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ডের একটি সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে যে, ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে ইউক্রেন ইস্যুতে ব্যবধান আরও প্রসারিত হচ্ছে। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে, ৭৮ শতাংশ ব্যয়বহুল জ্বালানী গ্রহণ করবে এবং ৭২ শতংশ ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য আরও মুদ্রাস্ফীতি সহ্য করবে। তবে, রিপাবলিকানদের মধ্যে, যথাক্রমে মাত্র ৪৪ শতাংশ এবং ৩৯ শতাংশ তা করবে। ডেমোক্র্যাট রুবেন গ্যালেগো টুইট করেছেন, ‘বাস্তবতা হ’ল, যদি ২০২২ সালে রিপাবলিকানরা হাউস দখল করে, তাহলে ইউক্রেনের প্রতি আমাদের সমর্থন বন্ধ হয়ে যাবে।’
রুবেন বলেন, ‘বেশিরভাগ মার্কিনিদের কাছে ইউক্রেন অর্ধেক পৃথিবী দ‚রে। এবং যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তে ইউরোপীয় দেশগুলি রাশিয়ার সামরিক হুমকির বেশি কাছাকাছি এবং ক্রমবর্ধমান বিপদ, রাশিয়ান জ¦ালানী সরবরাহের ক্ষতি ও উদ্বাস্তুদের অতিপ্রবাহের জন্য আরও ঝুঁকিপ‚র্ণ। তবে, যদি বাইডেন প্রশাসন দেখাতে পারে যে, ইউক্রেন অন্য একটি ‘অন্তহীন যুদ্ধে’ আটকা পড়ার পরিবর্তে জয়ের ভিত্তি অর্জন করছে, তাহলে দেশটির পক্ষে সমর্থন আদায় সহজ হবে।
ইউক্রেন যুদ্ধে বাইডেনের লক্ষ্য অস্পষ্ট। তার প্রশাসন ইউক্রেনকে জয় লাভে সাহায্য করার কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে, এবং এর পরিবর্তে এটিকে পরাজয় ঠেকানোর কথা বলছে। যুক্তরাষ্ট্র ছোট ছোট প্যাকেজে চারটি করে মিসাইল লঞ্চার ইউক্রেনের কাছে সরবরাহ করছে। (এটি দাবি করে যে, ইউক্রেনীয় বাহিনীকে প্রশিক্ষণের জন্য সময় প্রয়োজন) তবে বাইডেনের প্রধান উদ্বেগ হ’ল, ন্যাটো এবং পারমাণবিক অস্ত্র সজ্জিত রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষ এড়ানো। আমেরিকা ইউক্রেনের কাছ থেকে আশ্বাস দাবি করেছে যে, এর সরবরাহ করা ৮৪ কিলোমিটার পরিসরে হামলার যুদ্ধাস্ত্র রাশিয়ার ভ‚খÐে চালানো হবে না। এটি প্রায় ৩শ’ কিলোমিটার পরিসরে হামলার অস্ত্র সরবরাহ করতেও অস্বীকার করেছে।
কারো কারো কাছে ইউক্রেন যুদ্ধ অজেয়। তারা বলছে যে, বাইডেন প্রশাসনের উচিত দ্রæততম সময়ে একটি ক‚টনৈতিক চুক্তি পেশ করা। তবে ডেমোক্র্যাট হোক বা রিপাবলিকান, ইউক্রেনের সমর্থকরা বাইডেনকে দ্রæত বিজয়ী দেখতে চায়। জর্জ ডবিøউ বুশের অধীনে পেন্টাগনের প্রাক্তন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এরিক এডেলম্যান বাইডেন প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘যদি তারা মনে করে যে অচলাবস্থাই উত্তর, বা এমনকি যদি তারা ইচ্ছাকৃতভাবে একটি অচলাবস্থা নাও তৈরি করে, তাহলে তারা যুদ্ধক্ষেত্রে হারতে চলেছে এবং তারা ঘরোয়া জনমতের যুদ্ধেও হারতে চলেছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।