২০ দলীয় জোট শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেছেন, দেশে বর্তমানে চরম অর্থনৈতিক সঙ্কট বিরাজ করছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বী। নতুন করে বাড়ানো হয়েছে ওষুধ ও পানির দাম। সঙ্গে শুরু হয়েছে ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং। সার্বিক পরিস্থিতিতে মানুষ আজ অসহায় ও দিশাহারা। ক্ষমতাসীনদের লুটপাট ও সীমাহীন দুর্নীতি গোটা দেশের অর্থনীতিকে এক অন্ধকার পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না। দেশবাসী মনে করে-চলমান সঙ্কট সমাধানের একমাত্র পথ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ। যতদ্রুত এই সরকার পদত্যাগ করবে ততই দেশের মঙ্গল। আর সরকার অবিলম্বে পদত্যাগ না করলে গণসম্পৃক্ত তীব্র আন্দোলনে তাদেরকে বিদায় করতে হবে। এজন্য দল-মত নির্বিশেষে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

এনপিপির ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে দলটির চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. ফরহাদ। ২০০৭ সালের ১৯ জুলাই এনপিপি প্রতিষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষনেতা ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে কখনোই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। যেটা অতীতে একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনে কে আসলো বা না আসলো-এটা কোনো মুখ্য বিষয় নয়। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার। এটাই মুখ্য এবং এটাই আমাদের মূল দাবি। নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় হলে তখন নির্বাচন কমিশনের বিষয়েও ফয়সালা হবে।

এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আ হ ম জহির হোসেন হাকিম, মো. জাকির হোসেন, জেবি চায়না, যুগ্ম-মহাসচিব মো. ফরিদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফখরুজ্জামান, মো. তোতা মিয়া, প্রচার সম্পাদক কাজী মোজাফফর হোসেন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, ন্যাশনাল পিপলস মহিলা পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ইবনাত খান, জান্নাতুল হাসান ঐশী, ন্যাশনাল পিপলস ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।