পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ বা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে খেলাফত মজলিশের সঙ্গে সংলাপের বসে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, বর্তমান সরকার যে তারিখে প্রথম সভা করেছিলেন, সে অনুযায়ী ২০২৪ সালের জানুযারির প্রথম সপ্তাহে অথবা ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষের দিকে নির্বাচনে যেতে হবে। নির্বাচন একটা জটিল কর্মযজ্ঞ। অনেক প্রস্তুতি, সমঝোতার প্রয়োজন হয়। আমাদের তরফ থেকে প্রস্তুতিগুলো নিচ্ছি। আইনে যে সক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, কিছু এখতিয়ার আমাদের আছে। আচরণ বিধিমালা, পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী কাজ করবো। হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে, একটা বড় অংশ নির্বাচনে আসতে চচ্ছেন না বা আসবে না বলে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে। আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণে যেন নির্বাচন হয়। অংশগ্রহণ বলতে বড় দলগুলোর অংশগ্রহণে বড় পরিসরে যেন হয়। আমি পত্রিকায় পড়েছি, যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি বা সমমনা দল, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচনে অংশ নেবে না। তাদের নিজস্ব কিছু প্রোগ্রাম আছে, যে নির্বাচনকালীন সরকারের কী বৈশিষ্ট্য হবে।
তিনি বলেন, এটা কিন্তু অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে, সংশয় সৃষ্টি করেছে। বিএনপি যদি অংশ না নেয়, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করার যে উদ্দেশ, সেটা হয়তো সফল হবে না। আমরা হয়তো নির্বাচন করবো। বিএনপি কিন্তু অন্য দলের সঙ্গে বসে বিশেষ করে শাসক দলের দলের সঙ্গে বসে সুরাহা করতে পারেন, একটা ঐকমতে পৌঁছাতে পারে। তাহলে সেই ঐকমতের ভিত্তিতে নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই। সে প্রতিশ্রুতি আমরা পাচ্ছি না। সেই অবস্থাটা আসেনি। এখনো একটা সংশয়, দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে আছি যে আল্টিমেটিলি বিএনপি কী নির্বাচনে আসছে? না ওই অবস্থাটা সরকারের সঙ্গে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটা অবস্থান সৃষ্টি করবে। তারপর নির্বাচনে আসবে। যাই হোক সেটা এখনো অনিশ্চিত।
তিনি আরও বলেন, এখন আমরা যেটা করছি, বিএনপিকে আহ্বান করছি, তারা যেন নির্বাচনে আসেন। তাদের রাজনৈতিক কৌশল যদি ভিন্ন হয়, সেটা নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। তার পক্ষে বা বিপক্ষে আমাদের কোনো অবস্থান নেই। একটা রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা আছে, তাদের প্রজ্ঞা অনুসারে যে কোনো কৌশল বা প্রোগ্রাম হাতে নিতে পারে। আমাদের কাজ যেহেতু নির্বাচন করা, যারা নির্বাচনে অংশ নেবে তাদের সঙ্গে সংলাপ করতে চাই। সবাইকে বলবো অংশগ্রহণ করে যে সংসদ হবে, সেটা যেন গণতান্ত্রিক হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই তারা যেন জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল একটি সংসদ গঠন করবেন।
সংলাপে খেলাফল মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছেন। এছাড়া অন্যদের মধ্যে চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অংশ নিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।