মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ছবির পর এবার সোনার তৈরি অ্যাডলফ হিটলারের একটি হাত ঘড়ি নিলামে উঠতে চলেছে। ১৯৩৩ সালে ২ এপ্রিল ঘড়িটি হিটলার ৪৪তম জন্মদিনের পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন বলে নিলাম আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। নিলামে ঘড়িটির দাম দুই থেকে চার মিলিয়ন মার্কিন ডলার উঠতে পারে বলে জানা গেছে।
জন্মদিনের কথা বলা হলেও, হিটলারকে কী কারণে ঘড়িটি পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে রয়েছে ভিন্নমত। একাংশের মতে, ১৯৩৩ সালে যেদিন নাৎসি পার্টি নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল, সেদিন পুরস্কার হিসেবে ঘড়িটি উপহার দেওয়া হয়েছিল। আবার কারোর মত, ১৯৩৩ সালে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর পুরস্কার হিসেবে হিটলার পেয়েছিলেন ঘড়িটি।
১৯৪৫ সালের ৪ মে মিত্রবাহিনীর হামলায় পশ্চাদপসরণ করেন অ্যাডলফ হিটলার। অভিযান চালানোর সময় এক ফরাসি সেনা ঘড়িটি খুঁজে পান বলে দাবি। অন্যদিকে নিলামকারীদের মতে, ঘড়িটি আসল মালিক যে হিটলার ঐতিহাসবাদিরা দীর্ঘ গবেষণার পর নিশ্চিত হয়ে জানিয়েছেন।
কুখ্যাত রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে হিটলারের বদনাম থাকলেও, তার মধ্যে একটি শিল্পী সত্তা যে ছিল তার পরিচয় পাওয়া যায়। ২০১৭ সালে হিটলারের আঁকা পাঁচটি ছবির নিলাম হয়েছিল। যার মধ্যে চারটি ছবিতে স্বাক্ষর ছিল হিটলারের। হিটলারের স্বাক্ষর করা ছবিগুলিতে ফুটে উঠেছিল গ্রামের রাস্তা, ফুলের বোকে, অস্ট্রিয়ার একটি শহরের তোরণ। ছবিতে স্থান পেয়েছিল ঘড়ি ও ফুল। আর স্বাক্ষর করা ছবিগুলো ছিল তেল রঙে আঁকা।
তবে, সেই প্রথম নয়। এর আগেও হিটলারের আঁকা একাধিক ছবি নিলামে উঠেছিল বলে দাবি করেছে ব্রিটেনের একটি নিলাম সংস্থা। আর প্রত্যেকবারেই আকর্ষণীয় দামে সেগুলো নিলাম হয়। নিলাম সংস্থাটি আরও জানিয়েছিল, হিটলারের আঁকা বেশির ভাগ ছবি নাকি জল এবং তেল রঙের। আর এই ছবির সংখ্যাও নাকি ২ থেকে ৩ হাজার।
তবে শুধু ঘড়ি বা ছবি নয়। হিটলারের ব্যবহৃত টেলিফোনও নিলামে উঠেছিল। ইতিহাসবিদদের দাবি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা, মানুষ হত্যা, সবকিছুর নাকি সাক্ষী ছিল টেলিফোনটি। সূত্র : ডেইলি মেইল, মেট্রো ইউকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।