বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পূর্ণিমার কারনে সৃষ্ট অস্বাভাবিক জোয়ারের নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ২,৩,৫,৬,৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের প্রধান সড়কগুলো প্লাবিত হয়েছে, ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। নি¤œাঞ্চলের ঘরবাড়িও প্লাবিত হয়েছে। বেড়িবাঁধ না থাকায় সহজে জোয়ারের পানি ডুকে প্লাবিত হয় নিঝুমদ্বীপ।
জানা গেছে, রোববার দুপুরে জোয়ারের পানি ডুকে পড়ায় নিঝুমদ্বীপে বন্দরটিলা ঘাট-নামারবাজার প্রধান সড়কটি ৩ফুট পানির নিছে তলিয়ে গেছে। ফলে ওই সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেঁটে অনেকে নিঝুমদ্বীপের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতায়াত করছে।
গত দু’দিন ধরে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের কারনে পানি ডুকতে শুরু করে নিঝুমদ্বীপের প্রতিটি এলাকায়। বিকেলে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে পুনঃরায় পানি নামতে শুরু করে। জোয়ারের পানিতে নি¤œাঞ্চলগুলো ৩ থেকে ৫ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়।
স্থানীয়রা বলছেন, নিঝুমদ্বীপের চারপাশে কোন বেড়িবাঁধ না থাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি জোয়ার হলেই নিঝুমদ্বীপের অধিকাংশ ওয়ার্ড পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। জোয়ারের পানি এ ইউনিয়নের অধিকাংশ প্রধান সড়কগুলোর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার পর সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিঝুমদ্বীপে প্রায় ৪০হাজার লোকের বসবাস। ইউনিয়নটির সাগরের একবারে কাছে হলেও নেই কোন বেড়িবাঁধ। যার ফলে জোয়ারের সময় চারদিক দিয়ে একসাথে পানি এ ইউনিয়নে প্রবেশ করতে শুরু করে। দু’দিনের জোয়ারের পানিতে ছোট-বড় অন্তত ৫০টি মাছের খামার ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কাঁচা ঘর বাড়ি, জোয়ারের পানির টানে অনেক বাড়ির কাঁচা ঘরের ভিটে ভেঙে পড়েছে। নিচুু এলাকার লোকজন কঠিন সময় পার করছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন জানান, নিঝুমদ্বীপসহ হাতিয়ার নি¤œাঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। নিঝুমদ্বীপের চেয়ারম্যানকে পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন ও সড়কগুলোর তালিকা করার জন্য বলা হয়েছে। পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাব কেটে গেলে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলো নিয়ে কাজ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।