মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একসময় পণ্যের বিনিময়ে পণ্য অর্থাৎ বিনিময় প্রথা প্রচলিত ছিল বিশ্বজুড়ে। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জার্মানিতে প্রাচীন যুগের সে প্রথাই যেন আবারও ফিরে এসেছে। সূর্যমুখী তেলের বিনিময়ে মিলছে বিয়ার। ভোজ্য তেলের সঙ্কট মোকাবেলায় এ উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির মিউনিখ শহরের একটি পাব।
বিশ্বের আশি ভাগ সূর্যমুখী তেলের বীজ রপ্তানি করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। আর তাই, দেশ দু’টির যুদ্ধের প্রভাবে এ তেলের সঙ্কট গোটা ইউরোপজুড়েই। জার্মানির দোকানগুলোতে প্রায় সময়ই পাওয়া যাচ্ছে না সূর্যমুখী তেল। খাবার উপকরণ তৈরি করতে না পারায় পাবগুলোতে কমে গেছে বেচাবিক্রিও।
এক পাবের ম্যানেজার এরিক হফম্যান বলেছেন, আমাদের তেল ফুরিয়ে গেছে। তেল পাওয়াও খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা তেলের বিনিময়ে বিয়ার দিতে বাধ্য হয়েছি। ১ লিটার তেলের জন্য আমরা ক্রেতাদের সমপরিমাণ বিয়ার দিচ্ছি।
অভিনব এমন উদ্যোগ উপভোগ করছেন ক্রেতারাও। তেলের বিনিময়ে পছন্দের যেকোনো বিয়ার নিতে পারছেন তারা। এছাড়া ৭ ইউরোর বিয়ার পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে চাড় ইউরোর সূর্যমূখী তেলে। দোকানে এখন পর্যন্ত চারশ লিটার তেল ও বিয়ার অদলবদল হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতার দাবি, লাভবান হচ্ছেন উভয়পক্ষই।
মোরিজ ব্যালের নামে এক ক্রেতা বলেন, আমি এখানে ৮০ লিটার তেল নিয়ে এসেছিলাম। বিনিময়ে ৮০ লিটার বিয়ার পেয়েছি। তাদের এ উদ্যোগটি চমৎকার। এতে আমরা সস্তায় বিয়ার পাচ্ছি। এছাড়া গোটা জার্মানিতেই এখন তেলের সঙ্কট। তাই, তারাও এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে।
এরিক হফম্যান বলেন, আমাদের কাস্টমাররা সন্তুষ্ট। তেল পেয়ে আমরাও খুশি। তারা আমাদের সাহায্য করেছে, আমরা তাদের সাহায্য করেছি। কিছুক্ষণ আগে, ইউক্রেন থেকে একজন ৮০ লিটার তেল নিয়ে এসেছিলো। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।