মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত ও চীনকে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সীমান্ত বিরোধ সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা। ধর্মশালা থেকে লাদাখ যাওয়ার পথে গত শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই আহ্বান ভারতে নির্বাসিত এই নেতা। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এই খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- দালাই লামা এমন সময়ে এই মন্তব্য করেছেন, যখন লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের সৈন্যদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং তা প্রশমনে আগামী ১৭ জুলাই দেশ দুটির কর্পস কমান্ডার-পর্যায়ের বৈঠক হওয়ারও কথা রয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে সফরকালে দালাই লামা বলেছেন, ‘ভারত-চীন উভয়ই প্রতিযোগী প্রতিবেশী দেশ। আগে বা পরে তাদেরকে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এই সমস্যার (সীমান্ত) সমাধান করতে হবে। কারণ, বর্তমান সময়ে সমস্যা সমাধানে সামরিক শক্তির ব্যবহার সেকেলে।’
১৯৫১ সাল থেকে চীনা কর্তৃপক্ষ তিব্বতের ওপর কঠোর দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে। শুধু তাই নয়, তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পরিচয়ের শান্তিপূর্ণ প্রকাশকে সীমিত করতে বাধ্য করা হয়েছে৷
সেই সঙ্গে নিপীড়ন, নির্যাতন, কারাদণ্ড এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হচ্ছে অঞ্চলটির মুক্তিকামী মানুষদের। তবে জোরপূর্বক তিব্বত দখল করে নিলেও এই দখলকে বৈধতা দিতে একে অঞ্চলটির জন্য 'শান্তিপূর্ণ মুক্তি' বলে অভিহিত করে বেইজিং।
এ ছাড়া তিব্বতের বর্তমান দালাই লামা যিনি ভারতে নির্বাসিত, তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে ঘোষণা করেছে বেইজিং। এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, ‘চীনের অধিকাংশ মানুষই বিশ্ব করে যে আমি বিচ্ছিন্নতাবাদী নই। আমি তিব্বতে স্বাধীন রাষ্ট্র গড়তে চাই না বরং স্বায়ত্ত্বশাসন এবং ধর্মীয় সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা চাই।’
এর আগে, ভারতে নির্বাসিত ৮৭ বছর বয়সী দালাইলামাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এতে ক্ষিপ্ত হয়েছে বেইজিং। শুরু থেকেই দেশটিতে তাকে আশ্রয় দেওয়ার কারণে ভারতের ওপর ক্ষুব্ধ কমিউনিস্ট শাসিত দেশটি। একে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলেও দাবি করে চীন। তবে এই ইস্যুতে নয়াদিল্লি তার অবস্থানে অনড় রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।