পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকার পতনের সাইরেন বেজে উঠছে বলে যে মন্তব্য করেছেন তার সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, সরকারের বিদায় সাইরেন বেজে উঠেনি, বরং বিএনপিরই বিদায় ঘণ্টা বেজে ওঠেছে।
শনিবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ আলোচিত আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পথ বাদ দিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি’র কর্মসূচির কথা শুনলেই আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী প্রশাসন বিচলিত হয়ে পড়ে। মনে হয়- তাদের পায়ের নিচের মাটি কাঁপতে শুরু করেছে। গণতন্ত্রকে উচ্ছেদ করে অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে এই সরকার নানা ধরনের সর্বনাশা সহিংস পন্থা অবলম্বন করেছে। এমনকি পবিত্র ঈদের আগে-পরেও আওয়ামী সন্ত্রাসের বাড়বাড়ন্ত স্তিমিত হয়নি। প্রচণ্ড বেগে গণবিক্ষোভের বিস্ফোরণকে ঠেকানোর জন্যই দলীয় চেতনায় সাজানো প্রশাসন ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে। তবে এই সরকারের পতনের সাইরেন বাজতে শুরু করেছে।’ ফখরুলের সেই বক্তব্যের জবাব দেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক।
১৬ জুলাইকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বন্দী দিবস বলে আখ্যায়িত করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে ১/১১ নামক অমবশ্যা। আজকের এই দিন ১৬ জুলাই। এই দিন শুধু শেখ হাসিনার কারাবান্দী দিবস নয়। এই দিন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বন্দী দিবস। এই দিন শেখ হাসিনাকে বন্দী করে আমাদের বিকাশমান গণতন্ত্রকে বন্দী করা হয়েছিল। সেই ইতিহাস আপনারা জানেন। এর প্রেক্ষাপট আপনারা জানেন।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গান গেয়েছেন। ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা উড়িয়েছেন। তিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘১/১১ জেলে ছিলাম। রাজনীতির অনেকেই জেলে গেছেন। আমাদের নেত্রী বন্দী হয়েছিলেন। ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। প্রথম বন্দী হন শেখ হাসিনা। তারা এসে বিরোধীদলকে প্রথম বন্দী করে। সরকারি দলের নেতা তখনও বাইরে। কী দুর্বব্যবহার! এত অপমান নেত্রীকে করেছে তারা। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সামান্য শ্রদ্ধা তারা দেখাতে পারেনি, দেখায়নি। সেটাই হচ্ছে বড় কথা।’
কাদের অভিযোগ করেন, ২০০৭ সালে যদি একটি রাজনৈতিক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সহযোগিতা না করত, তাহলে সামরিক শাসন স্থায়ী হতো না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শক্র-মিত্র চিনতে হবে। একবার যারা বিশ্বাসঘাতক, তারা বারবার বিশ্বাসঘাতক।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।