নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একটা সময় ছিল, সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমানকে ছাড়া বাংলাদেশের সীমিত ওভারের দল ভাবাই যেত না। এখন দুজনই জাতীয় দল থেকে বেশ দূরে। দলে ফেরার মতো তেমন উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স নেই ঘরোয়া ক্রিকেটেও। বিশেষ করে সৌম্য তো যেন রান করতেই ভুলে গেছেন। সাব্বিরও বেশ ক’বার সুযোগ পেয়েও করেছেন বিমুখ। তারপরও এই দু’জনকেই রাখা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের বাংলাদেশ ‘এ’ দলে। তবে ফর্ম নিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের জায়গা হয়নি কোনো স্কোয়াডেই। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের মতে, দুজনের জন্যই নিজেদের প্রমাণের অনেক বড় মঞ্চ হতে পারে এটি।
বর্তমানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আছে তিন ফরম্যাটের বাংলাদেশ জাতীয় দল। এই বহর দেশে ফিরলেই আগামী আগস্টে ক্যারিবিয়ান সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ ‘এ’ দলও। সেখানে তারা দুটি চার দিনের ম্যাচ ও তিনটি এক দিনের ম্যাচ খেলবে। দুই সিরিজের জন্য গতকালই ১৫ সদস্যের আলাদা আলাদা স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে কোনো দলেরই অধিনায়কের নাম জানানো হয়নি। জাতীয় দলের বাইরে থাকা সৌম্য, সাব্বির ছাড়াও মোহাম্মদ মিঠুন, সাদমান ইসলাম, নাঈম শেখ, সাইফ হাসানদের জন্য এই সফর ফেরার দাবি জানানোর বড় সুযোগ।
দুই সিরিজের স্কোয়াডে আছেন এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা ১১ জন। তারা হলেন মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, জাকের আলি অনিক, নাঈম হাসান, রেজাউর রহমান রাজা, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, মুকিদুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি, সাইফ ও মিঠুন। শুধু এক দিনের ম্যাচের সিরিজের জন্য রাখা হয়েছে নাঈম শেখ, রকিবুল হাসান, সৌম্য ও সাব্বিরকে। ফজলে রাব্বি, তানভীর ইসলাম, এনামুল হক ও সাদমান জায়গা পেয়েছেন শুধু চার দিনের দুই ম্যাচের আন-অফিসিয়াল টেস্ট সিরিজে। তবে ফর্ম নিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুলের জায়গা হয়নি কোনো স্কোয়াডেই।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর বাংলাদেশের হয়ে কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি সৌম্য। সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি ১৬ মাস আগে। সাব্বিরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ পা পড়েছে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ফেরার দাবি জানানোর মতো বড় কিছু করতে পারেনি কেউই। তারপরও তাদের প্রতিভা, সামর্থ্য আর বাংলাদেশের ক্রিকেটে প্রতিভাশূন্যতা মিলিয়ে বারবার তাদের দিকে ফিরে তাকাতে হয় নির্বাচকদের। বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্পে রাখা হয় দুজনকেই। এরপর এবার ‘এ’ দলে সুযোগ। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বললেন, অনেক আশা নিয়েই এই দুজনকে ‘এ’ দলে রেখেছেন তারা, ‘সৌম্য ও সাব্বির অনেক বড় একটি প্ল্যাটফর্ম পেয়েছে নিজেদের মেলা ধরার জন্য। আমরা চাইব, ওরা যেন আবার রানে ফিরে আসে এবং এত ভালো পারফর্ম করে যে, আমরা জাতীয় দলে ডাকতে পারি।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করা বেশ কজন ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ‘এ’ দলের দুটি সিরিজের দলে। তবে সৌম্য ও সাব্বিরের ক্ষেত্রে ঘরোয়া ক্রিকেটের ফর্ম বিবেচনা করা হয়নি বলেই জানালেন প্রধান নির্বাচক, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে ওরা ভালো করেনি। তবে ওদের তো জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্মও করেছে। আমরা জানি ওরা কী করতে পারে। অনেক দিন ধরে সেভাবে ফর্মে নেই। এখন বাংলাদেশ টাইগার্স-এ ছিল। এই সফর ওদের জন্য বড় সুযোগ।’
সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যে সংস্করণে বাংলাদেশ ধুঁকছে নিয়মিত। সৌম্য ও সাব্বির সেরা ছন্দে থাকলে, এই সংস্করণের জন্য সম্পদ হতে পারেন দুজনই। তবে এখনই তাদেরকে বিশ্বকাপের বিবেচনায় রাখা নিয়ে ভাবছেন না প্রধান নির্বাচক, ‘বিশ্বকাপের কথা বলব না, তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এই দুজনের একটা আলাদা জায়গা তো সবসময় আছে। আমরা চাই আগে ওরা ফর্মে ফিরে আসুক।’
আনঅফিসিয়াল টেস্টের ‘এ’ দলের স্কোয়াডে মুমিনুলকে রাখা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও কিছুদিন আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, টেস্টে বাজে ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে ‘এ’ দলে নেওয়া হতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত রাখা হয়নি অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানকে। প্রধান নির্বাচকের মতে, আপাতত খেলার বাইরে থেকে মুমিনুলের একটু চাপমুক্ত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ, ‘মুমিনুল তো সিনিয়র ক্রিকেটার অনেক। ওকে ‘এ’ দলে নেইনি। তরুণরা আছে, জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া কয়েকজন আছে। মুমিনুল একটু তরতাজা হয়ে নিক, ওর জন্য এটা জরুরি। তবে প্রয়োজন পড়লে সুযোগ সামনেও আছে। জরুরি মনে করলে যে কাউকে নেওয়া হতে পারে।’
আগামী ৩১ জুলাই সেন্ট লুসিয়ায় উড়ে যাবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। প্রথম আন-অফিসিয়াল টেস্ট শুরু ৪ অগাস্ট, পরেরটি ১০ অগাস্ট। এক দিনের ম্যাচের সিরিজের ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে ১৬, ১৮ ও ২০ অগাস্ট। গোটা সিরিজের ভেন্যু সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়াম।
চার দিনের ম্যাচের স্কোয়াড : সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, মোহাম্মদ মিঠুন, ফজলে রাব্বি, শাহাদাত হোসেন দিপু, জাকের আলি অনিক, নাঈম হাসান, তানভির ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, রেজাউর রহমান রাজা, মুকিদুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি, এনামুল হক।
এক দিনের ম্যাচের স্কোয়াড : সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান, নাঈম শেখ, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, জাকের আলি অনিক, সাব্বির রহমান, নাঈম হাসান, রকিবুল হাসান, রেজাউর রহমান রাজা, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, মুকিদুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।