নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দিনের পর দিন প্রশ্নটা উঠেছে, এখনো উঠছে। সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে? একেকজনের একেক মত। কেউ বলেন পেলে, কেউ বলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা, কেউ আবার ইয়োহান ক্রুইফ কিংবা হাল আমলে লিওনেল মেসিকেও সর্বকালের সেরা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। এ নিয়ে বেশির ভাগ আর্জেন্টাইনের মতামত দুজন কিংবদন্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ-হয় ম্যারাডোনা, নয় তো মেসি। সিজার লুইস মেনোত্তি আর্জেন্টাইন হলেও সে ধাতের মানুষ নন। তার চোখে সর্বকালের সেরা ফুটবলারের নাম শুনলে ক্ষোভ ঝাড়তে পারেন ম্যারাডোনার ভক্তরা।
মেনোত্তির পরিচয়টা আগে দেওয়া যাক। একহারা শরীরের জন্য খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারে তার নাম ছিল ‘এল ফ্যালকো’। খেলেছেন বোকা জুনিয়র্স ও সান্তোসের মতো ক্লাবে। ১৯৬৮ সালে সান্তোসে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলেকে। একসঙ্গে জিতেছেন ব্রাজিলিয়ান সিরি ‘আ’ ও ক্যাম্পেওনাতো পলিস্তা। তবে খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারের তুলনায় কোচিংয়েই নাম কামিয়েছেন বেশি। আর্জেন্টিনাকে ১৯৭৮ বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন কোচ হিসেবে। বার্সেলোনাকে জিতিয়েছেন কোপা দেল রে। আর্জেন্টাইন ফুটবলে আক্রমণাত্বক খেলার ধারণার সঙ্গে মেনোত্তির নামটা সমার্থক। আর্জেন্টিনার চিরায়ত পাসিং ফুটবলে তার অবদান যথেষ্ট। একবার বলেছিলেন, ‘গোলটা স্রেফ জালে আরেকটি পাস হওয়া উচিত।’
২০১৯ সাল থেকে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের পরিচালকের পদ সামলানো কিংবদন্তি এই কোচের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তার মতে সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে? ৮৩ বছর বয়সী সাবেক এই কোচ কোনো রাখঢাক না রেখেই বলেন, ব্রাজিলের হয়ে তিনবার বিশ্বকাপজয়ী পেলে তার চোখে সর্বকালের সেরা ফুটবলার। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ‘ডি স্পোর্ত রেডিও’কে মেনোত্তি বলেন, ‘পেলেই সবার সেরা। সে ছিল অতিপ্রাকৃত। তাকে থামানো অসম্ভব ছিল।’ মেনোত্তি নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দেন, ‘তার জন্য যেকোনো ম্যাচই ছিল বিশ্বকাপ ফাইনাল। অনুশীলনের সেশনকেও সে বিশ্বকাপ ফাইনাল বলেই মনে করত।’ ১৯৬৮ সালে সান্তোসে পেলের সতীর্থ হওয়ার স্মৃতিচারণাও করেন মেনোত্তি, ‘মাঠে তাকে কাছ থেকে দেখাটা ছিল আনন্দের। সে (বল নিয়ে) এমন সব কারিকুরি করত, যা ছিল বোঝার বাইরে। হাত ব্যবহার না করেই সে গোলকিপার পজিশনে দাঁড়াত এবং সেখানেও সফল হয়েছে।’
মেনোত্তি এরপর বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি তার সঙ্গে কারও তুলনা করতে চাই না। সে সবার ওপরে, অনেক ওপরে। এরপর আমি অন্যদের বিবেচনা করি। ক্রুইফ, ডি স্টেফানো, ম্যারাডোনা আর হ্যাঁ মেসি। কিন্তু পেলে সব সময়ের সবাইকে ছাপিয়ে গেছে বলেই আমি মনে করি।’
ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। তখন কোচ ছিলেন কার্লোস বিলার্দো। মেসি বিশ্বকাপ ফাইনালে খেললেও কখনো চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি। কাতার বিশ্বকাপই সম্ভবত তার শেষ সুযোগ। তবে ক্লাব ফুটবলে প্রায় সব ট্রফিই জিতেছেন সাতবারের এই বর্ষসেরা ফুটবলার। আয়াক্সকে টানা তিনবার ইউরোপিয়ান কাপ (বর্তমানে চ্যাম্পিয়নস লিগ) জেতানো ডাচ কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ নেদারল্যান্ডসকে ১৯৭৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে তুললেও শিরোপা জিততে পারেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।