মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হওয়ায় ২০২১ সালে অন্তত আড়াই কোটি শিশু নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টংকার, হাম ও পোলিওর মত প্রাণঘাতী রোগের টিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে উঠে এসেছে জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যানে।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ পরিসংখ্যান বলছে, নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি থেকে বাদ পড়া শিশুর এ সংখ্যা ২০২০ সালে মহামারির প্রথম বছরের চেয়ে প্রায় ২০ লাখ এবং ২০১৯ সালে মহামারীর আগের বছরের তুলনায় ৬০ লাখ বেশি।
ইউনিসেফ বিষয়টিকে বর্ণনা করেছে গত এক প্রজন্মের মধ্যে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচিতে সবচেয়ে বড় ধাক্কা হিসেবে। করোনাভাইরাস মহামারি শিশুদের এ নিয়মিত টিকাদানের হারকে পিছিয়ে দিয়েছে ২০০০ সালের আগের সময়ের পর্যায়ে। মহামারির প্রথম ধাক্কা সামলে ২০২১ সালে নিয়মিত টিকাদানে উন্নতি হবে বলে অনেকে মনে করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
ইউনিসেফের সিনিয়র ইমিউনাইজেশন বিশেষজ্ঞ নিকোলাস ডেনিয়েলসন বলেন, “এটা শিশুদের জন্য অনেক বড় স্বাস্থ্য সংকট। জরুরি ভিত্তিতে এর সমাধান করা প্রয়োজন।”
জাতিসংঘের এ সংস্থা বলছে, ২০২১ সালে সবার মনোযোগ ছিল করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে, পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দা থেকে উত্তরণ এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল দেশগুলোকে। সব মিলিয়ে শিশুদের নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়ানোর কাজটি বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
এর প্রভাব পড়েছে বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে। ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টংকার ও হুপিং কাশির (ডিপিটি ৩) জন্য দেওয়া তিন ডোজ টিকার মোট সংখ্যা, একেবারেই টিকা না পাওয়া শিশুর সংখ্যা এবং এক বা একাধিক ডোজ না পাওয়া শিশুর সংখ্যা হিসাব করে দেখা গেছে, পুরো বিশ্বে টিকাদানের হার আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কমে ৮১ শতাংশে নেমে এসেছে। এর মধ্যে এক ডোজও টিকা না পাওয়া শিশুর সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। এই শিশুদের সংখ্যা এক কোটি ৩০ লাখ থেকে বেড়ে ১ কোটি ৮০ লাখ হয়েছে, যাদের অধিকাংশই মূলত নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের। এসব রোগের ক্ষেত্রে মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশের বেশি শিশুকে টিকার আওতায় আনতে হয়, তা না হলে রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকানো যায় না।
ইউনিসেফ বলছে, টিকাদানের হার কমে আসার প্রভাব ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। ২০২২ সালে আফ্রিকায় হামে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ৪০০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালে ২ কোটি ৪৭ লাখ শিশু হামের টিকার প্রথম ডোজ পায়নি; দ্বিতীয় ডোজ পায়নি আরও ১ কোটি ৪৭ লাখ শিশু। মহামারির সময়ে ৮১ শতাংশ শিশুকে টিকার আওতায় আনা গেলেও এই হার ২০০৮ সালের পর সর্বনিম্ন। ১৭৭টি দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার তথ্য ব্যবহার করে এ পরিসংখ্যান তৈরি করেছে জাতিসংঘ। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।