মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে তোলা বৃহস্পতি গ্রহের চোখ ধাঁধানো ছবি প্রকাশ করেছে নাসা, তাতে সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহটির বলয় ছাড়াও স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে এর তিন চাঁদ- ইউরোপা, থিব ও মেটিস। ছবিগুলো প্রকাশ করেছে নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি (সিএসএ)।
এই টেলিস্কোপ দিয়ে তোলা এসএমএসিএস ০৭২৩ নামের একটি নীহারিকাপুঞ্জের ছবি গত ১২ জুলাই হোয়াইট হাউজে প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর পর থেকে আরও ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে। ওয়েবের যন্ত্রপাতি গবেষণার তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত কি না, তা যাচাই করতে ১২ জুলাইয়ের আগে তিনবার বৃহস্পতির ছবি তুলেছেন নাসার গবেষকরা। সেই ছবিগুলো এখন প্রকাশ করা হচ্ছে ‘স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউট’-এর ‘মিকালস্কি আর্কাইভ ফর স্পেস টেলিস্কোপ’-এ।
ওয়েব টেলিস্কোপের এনআইআরক্যামের ২.১২ মাইক্রন ফিল্টারে তোলা বৃহস্পতির ছবি। ছবি: নাসা, ইএসএ, সিএসএ।ওয়েব টেলিস্কোপের এনআইআরক্যামের ২.১২ মাইক্রন ফিল্টারে তোলা বৃহস্পতির ছবি। ছবি: নাসা, ইএসএ, সিএসএ।প্রথম ছবিতে বৃহস্পতিবার বলয় দেখা না গেলেও আছে গ্রহটির চাঁদ ইউরোপা। এমনকি ‘গ্রেট রেড স্পট’ নামে পরিচিত বৃহস্পতির পৃষ্ঠের দানবীয় ঝড়টিও দেখা যাচ্ছে স্পষ্ট। নাসা বলছে, এই ঝড় এতোটাই বড় যে পুরো পৃথিবীকে গিলে খেতে পারবে। তবে ওয়েব টেলিস্কোপের ‘নিয়ার ইনফ্রারেড ক্যামেরা’ বা এনআইআরক্যামের শর্ট-ওয়েভলেন্থ ফিল্টারের মাধ্যমে তোলা ছবিগুলোর প্রক্রিয়াজাত করার কৌশলের কারলে লাল রঙের বদলে সাদা রঙে ফুটে উঠেছে ‘গ্রেট রেড স্পট’।
স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের গবেষক ব্রায়ান হলার বলেছেন, “সেদিন প্রকাশ করা ডিপ ফিল্ড ছবি আর বৃহস্পতির নতুন ছবিগুলো মিলে ওয়েবের পূর্ণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার প্রমাণ দিচ্ছে; বহু দূরের অস্পষ্ট ছায়াপথ থেকে শুরু করে আমাদের প্রতিবেশী গ্রহের ছবিৃ যা আপনি খালি চোখে নিজের উঠান থেকেই দেখতে পারেন।” ছবিতে বৃহস্পতির পাশেই ইউরোপা। বৃহস্পতির এই চাঁদ নিয়েও মহাকাশবিজ্ঞানীরা কৌতুহলী। তাদের ধারণা, উপগ্রহটির পুরু বরফের স্তরের নিচে একটি সাগর লুকিয়ে আছে। নাসার আসন্ন ‘ইউরোপা ক্লিপার’ মিশনের মূল লক্ষ্য বৃহস্পতির এই উপগ্রহ। ‘গ্রেট রেড স্পট’-এর পাশে ইউরোপার ছায়াও ধরা পড়েছে ওয়েবের ছবিতে। বাঁয়ে এনআইআরক্যামের ২.১২ মাইক্রন ফিল্টারে তোলা বৃহস্পতি। ডানের ছবিটি তোলা হয়েছে ৩.২৩ মাইক্রন ফিল্টারে। দুই ছবিতেই আছে গ্রহটির তিন চাঁদ- ইউরোপা, থিব ও মেটিস।বাঁয়ে এনআইআরক্যামের ২.১২ মাইক্রন ফিল্টারে তোলা বৃহস্পতি। ডানের ছবিটি তোলা হয়েছে ৩.২৩ মাইক্রন ফিল্টারে। দুই ছবিতেই আছে গ্রহটির তিন চাঁদ- ইউরোপা, থিব ও মেটিস।প্রথম ছবিটি বাদে ইনফ্রারেড আলোর ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে বৃহস্পতির ছবি নিতে আলাদা দুটি ফিল্টার ব্যবহার করেছে ওয়েব টেলিস্কোপ। দুই ফিল্টারে তোলা ছবি পাশাপাশি তুলনাও করেছে নাসা। ওই দ্ইু ছবিতে বৃহস্পতির বলয়ের পাশাপাশি একই সঙ্গে ধরা পড়েছে বৃহস্পতির তিন চাঁদ। নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানী স্টেফানি মিলাম বলেন, “আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না যে আমরা সব কিছু এত স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছিলাম, আর কত উজ্জ্বল ছিল সবকিছু।”
নিজেদের ওয়েবসাইটে নাসা বলেছে, এই ছবিগুলো প্রমাণ করছে, বৃহস্পতি, শনি এবং মঙ্গলের মত উজ্জ্বল গ্রহগুলোকে ঘিরে থাকা বলয় আর উপগ্রহ পর্যবেক্ষণের সক্ষমতা আছে ওয়েব টেলিস্কোপের। তবে বৃহস্পতির বলয় সবচেয়ে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে এনআইআরক্যামের ‘লং-ওয়েভলেন্থ ফিল্টার’ ব্যবহার করে তোলা ছবিতে। ৩.২৩ মাইক্রন ফিল্টারে তোলা বৃহস্পতির ছবি।৩.২৩ মাইক্রন ফিল্টারে তোলা বৃহস্পতির ছবি।দ্রুত গতিতে ছুটে যাওয়া গ্রহাণু আর ধূমকেতুর ছবি তোলার সক্ষমতাও জেমস ওয়েবের আছে। ১২ জুলাই গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহ শুরু করার আগে গ্রহাণুর ছবিও তুলেছে এ টেলিস্কোপ। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।