গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঈদ উল আজহা পরবর্তি কর্মস্থলমুখি জনশ্রোতে বরিশালÑফরিদপুরÑঢাকা মহাসড়ক সহ দ্বিতীয় বৃহত্বম বরিশাল নদী বন্দর সহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো নৌ টার্মিনালে এখন তিল ধরার ঠাই নেই। রোববার ঈদ উদযাপনের পরে মঙ্গলবার প্রথম কর্মদিবস হলেও কর্মস্থলমুখি মূল জনশ্রোত শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। তবে কর্মস্থলমুখি ভীড় সামাল দেয়ার মধ্যেই এবার সড়ক পথে বরিশালÑঢাকা রুটের বাসগুলোতে টিকেটের হাহাকার শুরু হয়েছে। কিছু কিছু বাস কাউন্টারের টিকেট কালোবাজারে বিক্রীরও অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে বাতানুকুল বাসগুলোতে ২০ জুলাই পর্যন্ত সোজা পথে টিকেট মিলছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। একটি বাস টিকেটের জন্য মানুষের হয়রানির শেষ নেই। তবে এবার নৌপথে কোন রুটের নৌযানের কেবিন সহ যেকোন টিকেট পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ।
পাশাপাশি এবার ঈদের আগে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চল মুখি সড়ক পথে যানযট সহ নানা বিড়ম্বনায় বিপন্ন নৌ পরিবহন সেক্টর কিছুটা সতেজ হলেও তার স্থায়িত্ব নিয়েও সংশয় রয়েছে। ঈদের আগের ৪ দিনের মত ঈদের দিন ভোর পর্যন্ত ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর হয়ে অর্ধ শতাধিক নৌযান দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে কয়েক লাখ যাত্রী পৌছে দয়ে। বেশীরভাগই নৌযানেই ছিল ধারনক্ষমতার আড়াই থেকে তিনগুনরেও বেশী যাত্রী। এমনকি বরিশালমুখি নৌযানগুলো ঈদের আগের তিন দিনই ডবল ট্রিপে কয়েক লাখ যাত্রী পরিবহন করেছে। ঈদের পরে বুধবার থেকে নৌপথে কিছুটা ভীর বাড়লেও বৃহস্পতিবার বরিশাল নৌ বন্দরে যাত্রীদের পদচারনা ছিল বিগত দিনের ঈদের মতই।
পদ্মাসেতু চালুর পরে দক্ষিণাঞ্চলের নৌ পরিবহন সেক্টরে মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসলেও ঈদকে কেন্দ্র করে তা কিছুটা কাটিয়ে উঠছে তবে এর স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন নৌযান মালিকগন। ঈদ পরবর্তি বুধবার থকেে কর্মস্থল মুখি মানুষের পদচারনা শুরু হলেও বৃহস্পতিবার থেকেই নৌযানগুলো ছিল যাত্রীতে ঠাশা। আগামী শণিবার পর্যন্তই সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন কর্মস্থলমুখি যানবাহনে তিল ধরার ঠাই থাকবে না বলে মনে করছেন ওয়াকিবাহল মহল। বৃহস্পতিবার শুধু বরিশাল বন্দর থেকেই প্রায় ১৫টি বিশালাকৃতির নৌযান ঢাকায় ছেড়ে গেছে। সড়ক ও আকাশ পথরে মত নৌপথওে কর্মস্থলমুখি জনশ্রোত শণিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকার কথা বলছেনে বভিন্নি পরবিহন সক্টেররে মালকিগন। সড়ক শুধু বরিশাল থেকেই প্রতিদিনই প্রায় দেড়শ বাস পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় যাচ্ছে।
বিগত দু বছর করোনা মহামারীতে ঈদের সময়ে ঘরমুখি যাত্রী সংকটে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহত বিনিয়োগের নৌ পরিবহন খাতে চরম অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। সে পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার আগেই পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় নৌ বানিজ্যে মারাত্মক বিপর্যয় নেমে এসেছে বলে দাবী নৌযান মালিকদের।
এরই মধ্যে এবারো অন্তত দশ লাখ মানুষ আপনজনদের সাথে আনন্দ উপভোগ করতে ঈদের আগে পারে দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াত করছেন। অন্যান্য বছর প্রায় ৮০ ভাগ ঘরমুখি মানুষ নৌপথে যাতায়াত করলেও পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় একটি বড় অংশই সড়ক মুখি হয়েছে। ফলে নৌপথে ঈদকে ঘিরে যাত্রী বাড়লেও তা তুলনামূলকভাবে কম। তবে ঈদরে ভীর কাটিয়ে মানুষ কতটা নৌপথকে ব্যবহার করে তার ওপরই সব কছিু নির্ভর করবে বলে মনে করছনে নৌযান মালকিগন ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।