গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
![img_img-1719386497](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678211639_df.jpg)
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
এমপির মারধরের শিকার হয়েওই তা অস্বীকার করেছেন রাজশাহীর রাজাবাড়ি কলেজের প্রিন্সিপাল সেলিম রেজা। এ ঘটনা গণমাধ্যমে আসার পর বুধবার রাতে ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন তিনি। এর আগে গত ৭ জুলাই রাত ৯টার দিকে রাজশাহী নগরীর থিম ওমর প্লাজায় নিজ চেম্বারে অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে বেদম মারধর করেন রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী।
ওই সময় সেখানে আর সাত কলেজের প্রিন্সিপাল-ভাইস প্রিন্সিপাল উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কেউই এমপিকে নিবৃত করেননি। ঘটনার পর আহত ওই প্রিন্সিপালকে অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সাঈদ আহমেদের চেম্বারে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কয়েকজন স্বজন ও সহকর্মীর সহায়তায় তিনি নগরীর রায়পাড়ার বাসায় ফেরেন। বুধবার এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশজুড়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা। শুরুতে আইনত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেও এখন গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলছেন প্রিন্সিপাল সেলিম রেজা।
শেষে বুধবার রাতে এনিয়ে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দেন তিনি। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, (বানান ও বাক্য অপরিবর্তিত), ১৩ জুলাই দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় আমাকে ও এমপি মহোদয়কে নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে, তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মনগড়া। এমপি সাহেবের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, একটি কুচক্রী মহল আগামী ১৫ জুলাই তানোর উপজেলায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে গোদাগাড়ী তানোর নির্বাচনী এলাকায় ওমর ফারুক চৌধুরীর সুনাম, উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মনগড়া, কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে।
অধ্যক্ষ আরও লিখেন, সাংবাদিক পরিচয় গোপন করে, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা বলে আমার বাসায় প্রবেশ করে এবং আমাকে অভিযোগ করার জন্য বিভিন্নভাবে উস্কানি দিয়ে ও আমার ছবি তোলার চেষ্টা করে। আমি কোনোভাবেই তাদের ছবি তুলতে দেইনি। আমি কোনো ধরনের অভিযোগ বা মন্তব্য প্রকাশ করিনি। তারপরও আমাকে ও এমপি মহোদয়কে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছেন। তিনি দাবি করেন, আমরা বিভিন্ন কলেজের কয়েকজন প্রিন্সিপাল ও ভিাইস প্রিন্সিপাল ঈদ উপলক্ষে এমপি সাহেবের অফিসে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এ সময় নিজেদের তর্কবিতর্ক হয়। এ ছাড়া কোনো ঘটনা ঘটেনি। ফেসবুক পোস্ট সম্পর্কে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় প্রিন্সিপাল সেলিম রেজার সঙ্গে। কিন্তু তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। ফলে এ নিয়ে সরাসরি তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে ওই শিক্ষক চাপে পড়ে ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা। প্রবীণ এই শিক্ষক নেতা বলেন, তিনি এখন হয়তো ভয়ে এসব বলছেন। ওই শিক্ষক কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তাহলে তানোরের কাউন্সিল নিয়ে তার মাথাব্যথা হওয়ার কথা নয়। তবে শুরু থেকেই প্রিন্সিপালকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। এদিকে, ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।