Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশের ‘আইন-শৃঙ্খলা ফেরাতে’ সেনাবাহিনী-পুলিশকে নির্দেশ দিলেন রনিল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০২২, ৬:৩৮ পিএম

দেশের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও বিক্ষুব্ধ জনগণকে শান্ত করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলার পর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি নিজে। -বিবিসি

ভাষণে তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর ও পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যা যা প্রয়োজন, সবই তারা করবে।’ ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। বর্তমানে দেশটিতে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বলতে আর কিছুই নেই। ফলে ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ অধ্যুষিত শ্রীলঙ্কা খাবার, ওষুধ, জ্বালানির মতো অতি জরুরি আমদানিও করতে পারছে না।

বর্তমান এই দুরাবস্থার জন্য দেশটির অধিকাংশ মানুষ প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে এবং তার বড়ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে দায়ী করে তাদের পদত্যাগের দাবিতে গত মার্চ থেকেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রীলঙ্কার সাধারণ জনগণ। প্রায় চার মাস মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে চললেও গত কয়েকদিন ধরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে আন্দোলন পরিস্থিতি। ৯ জুলাই পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়েন একদল বিক্ষোভকারী। গোতাবায়া অবশ্য একদিন আগেই রাজধানীর কাছে একটি সামরিক ঘাঁটিতে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন।

প্রেসিডেন্টের বাসভবনে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীরা ঘোষণা দেন, গোতাবায়া পদত্যাগের আগ পর্যন্ত তারা প্রাসাদ থেকে নড়বেন না। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল গোতাবায়া রাজাপাকসের। কিন্তু তার আগেই মঙ্গলবার মধ্যরাতে সামরিক বাহিনীর বিমানে মালদ্বীপে পালিয়ে যান তিনি। গোতাবায়ার দেশ ত্যাগের পর নিজেকে শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে, সেই সঙ্গে দেশজুড়ে জারি করেন জরুরি অবস্থা। কিন্তু তার পরই রনিলের পদত্যাগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি কার্যালয়ে হামলা করে তা তছনছ করেন একদল বিক্ষোভকারী। তাদের স্লোগান ছিল, ‘রনিল বাড়ি যাও।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বিক্রমাসিংহে বলেন, আমরা সংবিধানকে পদদলিত করতে পারি না। কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশের ক্ষমতা নিয়ে নেবে— তা আমরা হতে দিতে পারিনা। গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা প্রতিটি ফ্যাসিবাদী তৎপরতা অবশ্যই দমন করা হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ