পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগকে সরকার পতনের হুমকি দিয়ে লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তিত হবে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তার কোনো ব্যত্যয় ঘটাতে চাইলে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে দাঁতভাঙা জবাব দেবে।'
বুধবার (১৩ জুলাই) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিবের দেওয়া একটি বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'যশোর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেওয়া বিএনপি মহাসচিবের বিবৃতিতে যে বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে, তা সত্যের অপলাপ। বিচারাধীন কোনো বিষয়ে মন্তব্য করা আইনসিদ্ধ নয়।'
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'কারও রাজনৈতিক পরিচয় কোনো হত্যাকারীর অপরাধকে আড়াল করতে পারে না। হত্যাকারী/অপরাধী যেই হোক তার বিচার হবেই।'
আওয়ামী লীগ তার দলীয় লোকজনকেও ছাড় দেয়নি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে সংঘটিত বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের দ্রুতবিচার ও অপরাধীদের শাস্তি ভোগ সেটাই প্রমাণ করে। এমনকি সরকার দলীয় পদে থেকেও বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার কারণে অনেকেই আজ সাজাভোগ করছে।'
‘সহিংস রক্তপাতের মধ্য দিয়ে অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে' মির্জা ফখরুলের দেওয়া এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবে আইনের শাসনের প্রতি পরিপূর্ণভাবে শ্রদ্ধাশীল এবং সাংবিধানিক বিধি-বিধান অনুযায়ী নির্বাচন ছাড়া আওয়ামী লীগ কখনও দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেনি। স্বাধীন বাংলাদেশে সাংবিধানিক পন্থায় স্বেচ্ছায় শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের একমাত্র নজির সৃষ্টি করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। কিন্তু বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল।'
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, 'এমনকি স্বৈরাচার জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষায় প্রথমে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ এবং পরে তা আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথকে রুদ্ধ করেছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা দ্বিতীয় আর একটি নেই। স্বৈরাচার জিয়ার উত্তরাধিকার বেগম খালেদা জিয়াও অনুরূপভাবে ১৯৯৬ সালে ও ২০০৬ সালে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে অগণিত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী হত্যার পথ বেছে নিয়েছিল।'
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিষয়টি তুলে ধরে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপির শাসনামল হত্যা-ক্যু সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ। বিএনপি তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় একুশে আগস্টের মতো ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল।'
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে একটি পার্থক্য তুলে ধরে কাদের বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাই এদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং স্বাভাবিক ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকার্য সম্পন্ন করেছেন। পক্ষান্তরে বিএনপি, স্বাধীন বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায়ন ও পুরস্কৃত করেছে, এমনকি দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকলেও তারা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচারের কোনো প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি; এমনকি বিচারের দাবি পর্যন্তও করেনি।'
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।