মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রার্থনা, ফুল, কালো রিবনে পতাকা এঁকে মঙ্গলবার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা নেতা প্রয়াত শিনজো আবের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে জাপান। গত সপ্তাহে এক নির্বাচনি প্রচারণায় ভাষণ দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যু হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে পুরুষরা কালো স্যুট ও কালো টাই এবং নারীরা কালো পোশাক ও মুক্তার নেকলেস পরে টোকিওর জোজোজি মন্দিরে উপস্থিত হন আবেকে শ্রদ্ধা জানাতে। সাধারণ জনগণ পাশের ফুটপাতে লাইন ধরে দাঁড়িয়েছিলেন গ্রীষ্মের খরতাপে। এক নারীর হাতে ছিল ফুল। সোমবার সন্ধ্যায় হাজারো মানুষ আবের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। মঙ্গলবারের শেষ বিদায় শুরু হবে স্থানীয় সময় ১টায় শুরু হয়। এতে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশের সুযোগ রাখা হয়নি। এতে শুধু উপস্থিত থাকবেন পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। এই আনুষ্ঠানিকতা শেষে আবের লাশ নিয়ে যাওয়া হবে টোকিওর উপকণ্ঠে। তার লাশ নিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করবে। এর মধ্যে রয়েছে শহরের রাজনৈতিক প্রাণকেন্দ্র নাগাতাচো, ১৯৯৩ সালে তরুণ আইনপ্রণেতা হিসেবে প্রবেশ করা পার্লামেন্ট ভবন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই কালো পোশাক পরিহিত মানুষ দীর্ঘ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন মন্দিরের বাইরে। অনানুষ্ঠানিক পোশাক পরাও অনেক মানুষ রয়েছে। আবের আলোকচিত্রে শ্রদ্ধা জানানো হাজারো মানুষের একজন ৫৮ বছর বয়সী শিক্ষক কেইকো নাউমি। বলেন, তিনি (আবে) যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন একধরনের নিরাপত্তাবোধ ছিল। আমি তাকে সমর্থন করেছি। ফলে এমনটি দুর্ভাগ্যজনক। অনেকে লাইন ধরে দাঁড়িয়েছেন ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটি পার্টি (এলডিপি)-র প্রধান কার্যালয়ে। এখানে একটি অস্থায়ী মন্দিরে শুক্রবার পর্যন্ত শ্রদ্ধা জানানো হবে। শোক জানাতে আসা মানুষদের ঠান্ডা চা দিচ্ছেন দলের কর্মীরা। সোমবার সাময়িক যাত্রা বিরতি করে আবেকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন, তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাইও শ্রদ্ধা জানানো মানুষের দলে যোগ দিয়েছেন। কিয়োডো বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ২ হাজার শোক বার্তা এসে পৌঁছেছে। যার গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন, সেই বন্দুকধারী একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর ওপরক্ষুব্ধ ছিলেন। আবে ওই ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে মনে হওয়াতেই তিনি তাকে (আবে) গুলি করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। দেশটিতে বন্দুক সহিংসতা বেশ বিরল হওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ওপর এই ধরনের হামলার ঘটনা সমগ্র জাপানকে স্তব্ধ করে দেয়। তার স্মরণে সোমবার সন্ধ্যায় একটি আলোক প্রজ্বলন কর্মসূচি হয়েছে, যেখানে শত শত বিশিষ্ট ব্যক্তির পাশাপাশি হাজারও সাধারণ নাগরিক ফুল দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। রয়টার্স, কিয়োডো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।