পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারত শাসিত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের একটি বস্তিতে অগ্নিকা-ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হওয়া আরও ৬ জনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। পুলিশ এ খবর নিশ্চিত করেছে। নিহতরা হচ্ছেন একজন রোহিঙ্গা নারী ও তার দুই সন্তান।
জম্মু শহরের নারোয়াল এলাকার ওই বস্তিটিতে প্রায় ৮০টি ঘর ছিল, যার বেশীর ভাগই প্রায় ভস্মীভূত হয়ে গেছে। বস্তিরই এক বাসিন্দা, মিয়ানমার থেকে চলে আসা উদ্বাস্তু জাহিদ হুসেইন জানিয়েছেন, ‘রাত সাড়ে বারোটার দিকে আগুন লাগে। তখন আমরা সবাই ঘুমচ্ছিলাম। চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙ্গে উঠে আগুন দেখতে পাই। ততক্ষণে চারদিক আগুন আর ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল। কোনদিকে পালাবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। সবাই এদিক ওদিক দৌড়াদৌড়ি করছিল। আমার নিজের ঘরটাও পুড়ে গেছে’।
সকাল আটটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি, তবে ঘরগুলি কাঠের তৈরি, আর একে অপরটির গায়ে লাগানো- সেকারণেই খুব দ্রুত আগুন ছড়িয়েছে বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন। মিয়ানমার থেকে চলে আসা রোহিঙ্গারা অনেকেই বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে আসেন। জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করেন রোহিঙ্গারা। নির্মাণশিল্প বা আপেল বাগানগুলিতে শ্রমিকের কাজ করেন এদের বেশীরভাগ। এছাড়াও হায়দ্রাবাদ বা মুম্বাই শহরেও অনেকে কাজ যোগাড় করে নেন। অনেক রোহিঙ্গাই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে চলে আসার সময়ে বিএসএফের হাতে ধরাও পড়ে যান। ভারতে প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি রোহিঙ্গা রয়েছেন বলে গবেষকদের হিসাব, যাদের মধ্যে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর মাত্র কয়েকশ’ জনকে ‘শরণার্থী’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। -সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।