গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহগামী বাসের ভাড়া বছরের অন্যান্য সময় থাকে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। কিন্তু যখন মানুষ শত ভোগান্তি উপেক্ষা করে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি যাচ্ছে তখনই ২৫০ টাকার ভাড়া বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০০০ টাকা! আজ শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর অন্যান্য বাস টার্মিনালের মতো মহাখালী বাস টার্মিনালেও উপচে পড়া ছিল ঈদ যাত্রার যাত্রীদের।
সকাল থেকে তারা কাউন্টারের সামনে ভিড় করছিলেন। কিন্তু যানজটের কারণে বাসগুলো রাস্তায় আটকা পড়ায় তারা টিকিট বিক্রি করছিল না। এক একটি করে বাস যখন এসে মহাখালী পৌঁছাচ্ছে তখনই কেবল সেই বাসের রানিং টিকিট বিক্রি করা হচ্ছিল কাউন্টার থেকে। ফলে সকাল থেকেই ঘরমুখো যাত্রীদের জটলা তৈরি হয় মহাখালী বাস টার্মিনালে। এসব যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ টাঙ্গাইলের। তবে যাত্রী চাপ সবচেয়ে বেশি ছিল ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের।
প্রচুর যাত্রী, তবে বাস নেই, মহাখালী বাস টার্মিনাল তখন অনেকটাই বাসশূন্য। তবে ময়মনসিংহগামী সৌখিন এক্সপ্রেসের বাস ছিল বেশ কয়টি। যাত্রীর চাহিদার সুযোগে তারা হাঁকডাক দিয়ে ১০০০ টাকায় যাত্রীদের বাসে তুলছিল। যেখানেই যান ১০০০ এমন হাঁকডাকে গরম তখন মহাখালী বাস টার্মিনাল। ২৫০ টাকার টিকিট দিনব্যাপী তারা ৮০০-১০০০ টাকায় বিক্রি করেছে। এমনই এক বাসের হেলপার আলতাব হোসেন তখন হাঁকডাক দিয়ে যাত্রী তুলছিলেন বাসে। এসময় কথা হয় আলতাব হোসেনের সঙ্গে, ভাড়া এতো বেশি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেখেন না হাজার হাজার যাত্রী অথচ বাস নেই টার্মিনালে। আমরাও যানজটে আটকা ছিলাম ফলে ট্রিপ কমে গেছে। আমরা কি লাভ করব না? তাই তো ভাড়া নিচ্ছি ১০০০ টাকা, দুই একটা বাস অবশ্য ৮০০ টাকা নিচ্ছে। যে যেভাবে পারছে কিছুটা ভাড়া বেশি নিয়ে যাত্রী পৌঁছে দিচ্ছে।
ময়মনসিংহ যাওয়ার জন্য মহাখালী বাস টার্মিনালে ৩ ঘণ্টা যাবত স্ত্রী সন্তান নিয়ে অপেক্ষা করেছেন মাসুদুর রহমান নামে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি এসেছেন রাজধানীর কড়াইল বস্তি থেকে। তিনি বলেন, অন্য সময় ময়মনসিংহ যেতে ভাড়া লাগে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। আর এখন প্রচুর যাত্রী, বাসও নেই যানজটের কারণে। এই সুযোগে তারা ১০০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করছে। মানুষও অসহায়ের মতো বাধ্য হয়ে এই অতিরিক্ত ভাড়াতেই যাচ্ছে। এ বিষয়ে সৌখিন এক্সপ্রেসের চালক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ভাই পুরো সড়কজুড়ে যানজট ছিল, বেশিরভাগ বাস যানজটে আটকা। এদিক হাজার হাজার যাত্রী টার্মিনালে বাসের জন্য অপেক্ষা করছে। যানজটে বাস ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকায় আমাদের ট্রিপ অনেক কমে গেছে। যে কারণে আমরা একটু বেশি ভাড়া আদায় করে পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। এসব যাত্রীরা তো বাড়িতে যাবেই, তাই একটু বেশি ভাড়ায় তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে আমরা পৌঁছে দিচ্ছি। বছরে এই ঈদের সময়ই একটু দাবি, বকশিশ তো আমরা আশা করিই। ঈদ পার হলে আবার আগের মতো ২৫০ টাকায় যাত্রী পৌঁছে দেব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।