বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গরুর মাংসের স্বাদকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যায় চুই ঝাল। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও যশোরের মানুষ যেন চুই ঝাল ছাড়া গরুর মাংস খেতেই পারেন না। আর তাই তো কোরবানির ঈদ আসার সাথে সাথেই চুই ঝালের চাহিদা বেড়ে গেছে কয়েক গুন। চুই ঝালের রয়েছে অনেক ওষধি গুন। তবে যতটা না ওষধি গুন, তার চেয়েও বড় কথা, গরুর মাংসে চুই ঝাল দিলে এমন একটি স্বাদের সৃষ্টি হয় যে ভোজন রসিকরা একবার খেলে তা বারবার খেতে চাইবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা বাগেরহাট, খুলনা, নড়াইল, যশোর, সাতক্ষীরা এলাকায় চুইঝালের চাষ হয়। মশলাটি এসব জেলায় ব্যাপক জনপ্রিয়। বর্তমানে দেশের অন্যান্য জেলাতেও মশলা হিসেবে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। চুই লতা জাতীয় গাছ। এর কান্ড ধূসর এবং পাতা পান পাতার মতো, দেখতে সবুজ রংয়ের। চুইঝাল খেতে ঝাল হলেও এর রয়েছে বিভিন্ন ধরণের ঔষধি গুণ। চুই লতার শিকড়, কান্ড, পাতা, সবই ভেষজ গুণসম্পন্ন। তবে ঝাল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় হাঁসের মাংস ও গরুর মাংস রান্না করতে। রান্নার জন্যে চুইঝালের কান্ড ব্যবহার করা হয়। চুইঝালে দশমিক ৭ শতাংশ সুগন্ধি তেল থাকে। এছাড়াও এতে রয়েছে আইসোফ্লাভোন, অ্যালকালয়েড, পিপালারিটিন, পোপিরন, পোলার্টিন, গ্লাইকোসাইডস, মিউসিলেজ, গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ, সিজামিন, পিপলাস্টেরল।
খুলনার সান্ধ্যবাজারের চুই বিক্রেতা গোলাম হোসেন জানান, বিগত ১৩ বছর ধরে তিনি এই বাজারে চুই ঝাল বিক্রি করছেন। প্রতিবার ঈদের আগে চুই ঝালের চাহিদা খুব বেড়ে যায়। দামও কিছুটা বাড়ে। অন্য সময় চুইঝাল চিকন (আকারে ছোট) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় ও কিছুটা বড় চুইঝাল ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। কুরবানি উপলক্ষে বাজারে চাহিদা বাড়ায় পাইকারী দরে কিনতেই বেশি টাকা গুণতে হচ্ছে। তাই চুইঝালের সাইজ অনুযায়ী কেজি প্রতি ৮০০ থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে দাম বেশি হলেও ক্রেতারা ঠিকই কিনছেন। নগরীর দৌলতপুর বাজারের চুই ঝাল বিক্রেতা ইউসুফ আলী জানান, খুলনা ছাড়াও বাগেরহাট, সাতক্ষীরায় উৎপাদিত চুই তিনি বিক্রি করেন। বাগেরহাটের চুই এর স্বাদ বেশি। সাতক্ষীরার চুই এ ঝাল একটু বেশি।
বাগেরহাট শহরের সাধণার মোড়ে চুইঝাল বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, চুইঝাল সারা বছর মোটামুটি ভালোই বিক্রি হয়। তবে কোরবানির উৎসবের চুইয়ের বিক্রি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। যার ফলে পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন, আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয় ক্রেতাদের কাছে। শহিদুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, সারা বছরই প্রায় চুইঝাল খাই মাংসের সাথে। কিন্তু কুরবানির সময় গরুর মাংসের সাথে চুইঝাল না হলে চলে না। ঈদের সময় চুইঝাল দিয়ে রান্না করা মাংস অতিথিদের খুবই পছন্দের। দাম একটু বৃদ্ধি পেলেও, মাংস খেতে চুইঝাল লাগবেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।