Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তামাক নিয়ন্ত্রন আইন বাস্তবায়নে সংশোধনের মাধ্যমে যুগোপযোগী করা জরুরি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২২, ৬:১৯ পিএম

তামাক কোম্পানিগুলোর নীতি সম্পূর্ণ বিপরীত। সরকারের উদ্দেশ্য জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে তামাকের ব্যবহার কমানো, অপরদিকে তামাক কোম্পানিগুলোর উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন ও প্রসার। তামাক কোম্পানীর হস্তক্ষেপের ফলে আইন, বিধিমালা প্রণয়নসহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও প্রত্যাশিত ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে হলে তামাক নিয়ন্ত্রন আইন বাস্তবায়নে সংশোধনের মাধ্যমে যুগোপযোগী করা জরুরী এই বিষয়ের উপর গুরত্ব আরোপ করে বুধবার (৬ জুলাই) বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এর আয়োজনে তামাক কোম্পানীর হস্তক্ষেপ: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক জুম ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। ডাবিøউবিবি ট্রাস্টের স্বাস্থ্য অধিকার বিভাগের হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহম্মেদ , স্কোপ এর নির্বাহী পরিচালক কাজী এনায়েত হোসেন এবং, এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক শাগুফতা সুলতানা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, তামাক শুধু সংক্রামক নয় অসংক্রামক রোগের বিস্তারের ক্ষেত্রেও প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। কিন্তু ক্ষতিকর এ পণ্যটি নিয়ন্ত্রণে বিষয় উত্থাপিত হলে বিভিন্নভাবে তামাক কোম্পানী এর বিরোধীতা করছে। যা সরকারের স্বাস্থ্য উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে বিঘ্নিত করছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন, সংশোধন, কর বৃদ্ধি, আইন বাস্তবায়ন, মোড়কে স্বাস্থ্য সর্তকবানী প্রদান, সহায়ক নীতি প্রণয়ন বিভিন্ন ক্ষেত্রে তামাক কোম্পানীগুলোর প্রভাব বিস্তারের নজির রয়েছে। বক্তারা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নকে এগিয়ে নিতেই আইন সংশোধন প্রক্রিয়া সময়ের দাবী এবং সরকার ইতোমধ্যেই আইনটিকে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে।

তামাক নিয়ন্ত্রণে কাংখিত লক্ষ্যে পৌছাতে হলে তামাক কোম্পানী থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহার অত্যন্ত জরুরী। কারন এ সামান্য শেয়ারের সুযোগ নিয়ে কোম্পানীগুলো নানাভাবে নীতিতে প্রভাব বিস্তার অব্যহত রেখেছে। বক্তারা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে তামাক পণ্যের খুচরা ও সিঙ্গেল স্টিক বিক্রয় বন্ধ, লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিত তামাক পণ্য বিক্রয় নিষিদ্ধ, তামাক কোম্পানীর সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ, ফেরি করে বা ভ্রাম্যমান দোকানের মাধ্যমে তামাক পণ্য বিক্রয় নিষিদ্ধ, তামাক কোম্পানীর প্রভাবে থেকে সুরক্ষায় নীতি প্রণয়ন, কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পরিধি বৃদ্ধি, তামাকজাত দ্রব্যের ষ্টার্ন্ডাস প্যাকেজিং ইত্যাদি বিষয়ে সুপারিশ করেন।

পরিশেষে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন হয়েছে আর্ন্তজাতিক চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) এর আলোকে। এফসিটিসি এমন একটি চুক্তি যেখানে স্বাস্থ্যকে বানিজ্যর উপরে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে সুতরাং তামাক কোম্পানীগুলোর অসত্য তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়ে জনগুরুত্বপূর্ন এ আইনটি সংশোধন করে অতি দ্রæত যুগোপযোগী করা হোক।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ