Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আট মাসের সমপরিমাণ বৃষ্টি সিডনিতে ইতালিতে স্মরণকালের ভয়াবহ খরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২২, ১২:০৫ এএম

অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় শহর সিডনিতে তৃতীয়বারের মতো বন্যা দেখা দিয়েছে। সতর্কতা হিসেবে ৫০ হাজার মানুষকে শহর থেকে সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। গত চার দিনে সিডনিতে প্রায় আট মাসের সমপরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। এতে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক বাড়িঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। হাজার হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বর্তমান জরুরি অবস্থার জন্য গ্রেটার সিডনিজুড়ে শতাধিক স্থানান্তর আদেশ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি বড় নদীতে পানি বাড়ছে। এসব নদীর আশপাশের ৫০টি এলাকার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলসের কিছু এলাকায় গত চার দিনে ৮০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলেছে, গ্রেটার লন্ডনে এক বছরে যত বৃষ্টিপাত হয়, তার থেকে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। আরেক খবরে বলা হয়, ইতালির উত্তরাঞ্চলে ৭০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ খরা দেখা দিয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় পো নদীর আশপাশে পাঁচটি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইতালি সরকার। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইতালির দীর্ঘতম নদী পো। এর দৈর্ঘ্য ৬৫০ কিলোমিটারেরও বেশি। এ নদীর আশপাশের অঞ্চলে ইতালির স্মরণকালের ভয়াবহ খরা দেখা দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খরা মোকাবিলায় এমিলিয়া-রোমাগনা, ফ্রিউলি-ভেনেজিয়া গিউলিয়া, লোমবার্ডি, পাইডমন্ট এবং ভেনেটো অঞ্চলে ৩৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ দেওয়া হবে। ইতালির এগ্রিকালচারাল ইউনিয়ন কোল্ডিরেত্তি জানিয়েছে, খরার কারণে ইতালির ৩০ শতাংশেরও বেশি কৃষি উৎপাদন হুমকির মুখে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্বাভাবিক গরম আবহাওয়া এবং পুরো শীতকাল ও বসন্তকালজুড়ে বৃষ্টি কম হওয়ায় ইতালিতে ভয়াবহ খরা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেশ কয়েকটি পৌরসভা ইতিমধ্যেই পানির রেশনিং ঘোষণা করেছে। পো নদীর আশপাশের কৃষকেরা বলছেন, সমুদ্রের লবণাক্ত পানি নদীতে মিশে ফসল নষ্ট করছে। এদিকে এ সপ্তাহের শেষের দিকে উত্তর ইতালির আল্পস পাহাড়ে একটি হিমবাহ ধসে পড়ে অন্তত সাতজন মারা গেছেন। ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে এসব দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ