Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ অব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:৫৮ এএম, ২৬ নভেম্বর, ২০১৬

মিয়ানমারের স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সে দেশের  সেনাবাহিনীর চলমান সংঘর্ষ প্রমাণ করছে, সেনাবাহিনী এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি।
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে চলমান এই সংঘর্ষ আজ ষষ্ঠ দিনে পড়ল। কচিন স্বাধীনতাকামী সেনাবাহিনী, তঙ্গ জাতীয় মুক্তিবাহিনী এবং মিয়ানমার ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল আর্মি কুকং গত বৃহস্পতিবার চীনা সীমান্তবর্তী শন প্রদেশের মুস এলাকায় একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। ওই হামলায়  আট জন নিহত হয়েছে এবং অপর ২৯ জন আহত হয়েছে।
মাসখানেক আগে মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদয়ে চতুর্পক্ষীয় শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল সেখানকার বিবদমান গোষ্ঠীগুলো কী চায় এবং সম্মেলনে উপস্থিত বিজ্ঞজনদের দৃষ্টিতে সেগুলো পূরণের উপায় খুঁজে বের করে কয়েক দশক ধরে চলমান ধর্মীয়, বর্ণগত এবং গোত্রীয় সংঘর্ষের অবসান ঘটানো। কিন্তু এ সম্মেলন নিয়ে গণমাধ্যমগুলোতে কিছুটা ভিন্নরকমের বিশ্লেষণ হয়েছে। তার কারণ হলো চতুর্পক্ষীয় ওই সম্মেলনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের কোনো প্রতিনিধির অংশগ্রহণ ছিল না। পত্রপত্রিকায় এই ঘটনাকে বৈষম্যমূলক এবং মিয়ানমারের মুসলমানদের অধিকার উপেক্ষা করার শামিল বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলো মানবাধিকারের সেøাগান তুললেও এসব দেশ মিয়ানমারের বিশ লাখেরও বেশি মুসলমানের অধিকারের ব্যাপারে অন্ধ এবং নির্বাক রয়েছে। পশ্চিমাদের এই দুঃখজনক আচরণের কারণে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের অধিকার লঙ্ঘনে তৎপর হয়ে উঠেছে।
এই পরিস্থিতির দায়ভার কিছুটা অং সান সুচি’র ওপরও বর্তায় বলে বিশ্লেষক মহলের ধারণা। কেন না, তিনি মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের উপদেষ্টা। তিনি মুসলমানদের বিষয়টি যেন বেমালুম ভুলে গেছেন। তিনি স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এবং সরকারের মাঝে একটা রাজনৈতিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতেই ব্যস্ত। কেন না, এই ভারসাম্য আনতে পারলে স্বাধীনতাকামীদের আন্দোলন ধূলায় মিশে যাবে। কিন্তু এই কাজটি ততটা সহজ হবে বলে মনে করেন না অনেকেই। কারণ বিষয়টা যথেষ্ট জটিল এবং কঠিন। কারণ এর অর্থ হলোÑ স্থানীয় গোষ্ঠীগুলোর চাওয়া-পাওয়াগুলোর ব্যাপারে মনোযোগী হওয়া এবং স্বীকার করে নেয়া যে, এরা মিয়ানমারেরই নিজস্ব জনগোষ্ঠী। সুচি আরেকটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন, সেটা হলোÑ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো অস্ত্র হাতে রেখে আলোচনায় বসতে পারবে না, এটা আলোচনার মুলনীতির পরিপন্থী।
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, মিয়ানমারের সশস্ত্র গোত্রগুলো বর্তমান পরিস্থিতিতে সে দেশের একটা স্বাধীন ভূখ-ের দাবিতে আগের মতোই সোচ্চার থাকতে পারে। কিন্তু তারা চাচ্ছে অস্ত্রের সাহায্যে তাদের গোত্রীয় অধিকারই নিশ্চিত করতে। সুতরাং দ্বিপক্ষীয় ভারসাম্য কিংবা সন্তোষজনক কোনো পরিণতি আশা করাটা দুরূহ বলেই বিশেষজ্ঞমহল মনে করছেন। সূত্র : পার্স টুডে।



 

Show all comments
  • Abul Basar ২৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১১:৫৩ এএম says : 0
    এই হিংস্রতার চরম মুল্য দিতে হবে মায়ানমারকে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ