Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবৈধ ভিওআইপিতে জড়িত কাউকে ছাড় নয় বিটিআরসি চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিটিআরসি চেয়ারম্যার ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত¡ মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকসহ অন্য যে কোন মোবাইল ফোন অপারেটর অবৈধ ভিওআইপিতে জড়িত থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে আমরা সব অপারেটরকে সমানভাবে দেখি। কারো বিরুদ্ধে ভিওআইপি কলের অভিযোগ পেলে জরিমানা করা হয়। টেলিটককে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল, তাদেরসহ অন্যান্য কোম্পানির জরিমানা টাকা আদায়ের প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর টেলি যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি) আয়োজিত আন্তর্জাতিক অবৈধ কল টারমিনেশন এবং সম্পর্কিত অন্যান্য ইস্যু বিষয়বলী নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। শুধু অবৈধ ভিওআইপি নয়, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমোর মত স্মার্টফোন অ্যাপে ভয়েস কল সুবিধার কারণে আন্তর্জাতিক ফোনকলের ব্যবসায় সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির শাহজাহান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, মোবাইল ফোনে এ ধরনের ‘ওভার দ্য টপ’ অ্যাপ ব্যবহার করে ভয়েস কলের সুবিধা নিয়ে আগামী দুই এক মাসের মধ্যে একটি সিদ্ধান্তে আসতে চায় বিটিআরসি। কারণ মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্কাইপ, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো ভিওআইপি অ্যাপের মাধ্যমে ভয়েস কলের সুবিধাও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে বৈধ ভয়েস কলের ওপর।
এ বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ নেবে জানতে চাইলে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, এ ব্যাপরে কোনো নীতিমালা এখনও প্রণয়ন করা হয়নি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ উদাহরণ নেওয়ার চেষ্টা করছি। কোনো কোনো দেশে এসব অবৈধ ঘোষণা করেছে, অনেকে দেশ বলেছে শুধুমাত্র ডেটা সরবরাহ করা যাবে, ভয়েস নয়। তিনি আরো বলেন, সম্পূর্ণ বন্ধ করা যাবে না, কিছু না কিছু থাকবেই। তবে আগের থেকে অনেক কমিয়েছি, আরও কমে যাবে।
শাহজাহান বলেন, এ ব্যবসা বন্ধ করতেই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন চালু করা হয়েছে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হচ্ছে, আমরা জরিমানাও করছি। কোথাও ভিওআইপি কলের সংবাদ পেলে আগে তা বন্ধ করতে কোম্পানিকে চার ঘণ্টা সময় দেওয়া হতো, এখন কমিয়ে দু’ঘণ্টা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি’র প্রধান জানিয়েছেন, স¤প্রতি একটি দৈনিকে ‘অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা বন্ধে ব্যর্থ তারানা হালিম’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে বিটিআরসির সূত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন উদ্ধৃতি ব্যবহার করা হয়েছে, যা আমাদের কোনো কর্মকর্তা প্রদান করেন নি। এতে ব্যবহৃত বক্তব্যের সঙ্গে বিটিআরসির কোনো সংযোগ নেই। আর ভিওআইপি কল বন্ধের বিষয়টি চলমান প্রক্রিয়া। এখানে ব্যর্থতার প্রশ্ন আসে না। তারানা হালিম মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করার পরে আন্তর্জাতিক কলের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান। ডাক ও টেলি যোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: ফয়জুর রহমান বলেন, ভিওআইপি’র অবৈধ ব্যবসা বন্ধের বিষয়টি চলমান প্রক্রিয়া। এর কাজ চলছে। এছাড়া প্রতিমন্ত্রী নিজে মোবাইল ফোন, ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে হুমকি বন্ধে টাক্সফোর্স পরিচালনা করে যাচ্ছেন। বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধনের উদ্দেশ্যও ভিওআইপি’র অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করা। তিনি আরো বলেন, মোবাইল ফোনে সিম ব্যবহার করে ভিওআইপি করলে এবং তা ধরা পরলে প্রতি সিমের বিপরীতে ৫০ ডলার করে জরিমানা কার্যকর রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ