গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে মানুষ ক্রমেই হিংস্র ও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, সম্মান, পারস্পারিক সহমর্মিতা, সহযোগিতা নেই। বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা এবং নবীর শিক্ষা ছোটদের প্রতি স্নেহ করা, আমাদের সমাজ থেকে তা ক্রমেই উঠে যাচ্ছে। সর্বোপরি সিলেবাস থেকে ইসলামকে বাদ দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে দেশ ও ইসলাম বিরোধী শক্তিগুলো। তারা সুকৌশলে দেশের শিক্ষা খাত থেকে ইসলাম মুছে ফেলতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। করোনার অজুহাতে গত দুই বছর ইসলাম শিক্ষার পরীক্ষা নেয়া হয়নি। শোনা যাচ্ছে নতুন শিক্ষানীতিতে ইসলাম শিক্ষাকে বাদ দিয়ে কথিত নৈতিক শিক্ষা প্রবেশ করানো হচ্ছে। যা আসলেই দুঃখজনক।
পীর সাহেব চরমোনাই আজ সোমবার রাজধানী ডেমরা বামৈল জামিয়া কারিমিয়া দারুল উলুম মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাদরাসার সভাপতি ও মুতাওয়ালী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে এবং মাদরাসার মুহতামিম মুফতী হাবিবুল্লাহ সিরাজীর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব আদম শফিউল্লাহ, আলহাজ্ব এম এইচ মোস্তফা, মুস্তাফিজুর রহমান।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলামী শিক্ষাকে বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিত। শিক্ষকের মর্যাদা পড়ানো উচিত। পাঠ্যপুস্তক ও জাতীয় শিক্ষাক্রম থেকে ইসলামী শিক্ষাকে সঙ্কুচিত করা চরম উদ্বেগজনক বিষয়। এমনিতেই সকল ক্ষেত্রে মূল্যবোধহীনতার চর্চা বেড়েছে। মূল্যবোধহীনতার মূলে ধর্মীয় শিক্ষার অভাব অন্যতম কারণ। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে পাঠ্যসূচী থেকে ইসলামকে বাদ দেয়া তো দূরের কথা, কল্পনা করারও দুঃসাহস দেখানো উচিৎ হবে না। এদেশের ইসলাম প্রিয় জনতা তা মেনে নেবে না। সিলেবাসে নবী-রাসূল, সাহাবায়ে কেরাম, মহামনিষীদের জীবনী বাদ দিয়ে হিন্দুদের বিভিন্ন মনিষীদের জীবনী সংযুক্ত করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।