গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
মিরপুরের পল্লবিতে সাদ মুসা গ্রুপের প্রায় ১৫ শতক জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দখল করা জমির অংশে স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছে। পল্লবী থানার ৪০০ গজের মধ্যে সাদ মুসা গ্রুপের জমির অবস্থান। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সহায়তা নিয়ে একেএম আব্দুস সালাম প্রায় ২০০ জন লোক নিয়ে গতকাল শনিবার সকাল ৮টায় সাদ মুসা গ্রুপের বাউন্ডারি ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে আরেকটি সীমানা প্রাচীর দেয়াল নির্মাণ করে । এ ব্যাপারে পল্লবী থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরও থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন সাদ মুসা গ্রুপের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মেজর (অবঃ) মইনুল হাসান।
অভিযোগ পত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে করিম উদ্দিন ভরসার নিকট থেকে ২০৮ শতক সম্পত্তি সা'দ মুছা গ্রুপ খরিদ করে ভোগ দখল করিয়া আসতেছিল এবং ২০১১ সালে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক টি বোর্ড শাখা চট্টগ্রাম এর নিকট দায়বদ্ধ রয়েছে । পরবর্তীতে মিরপুর ডিওএইচএস রাস্তার জন্য কিছু সম্পত্তি অধিভুক্ত হওয়ায় অবশিষ্ট সম্পত্তিতে বালু ভরাট করিয়া চারদিকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে সা'দ মুছা গ্রুপের কিছু ষ্টাফ থাকার জন্য একটি ঘর করে রাখা হয় । হঠাৎ গত বছর বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত এম এম আব্দুল হামিদের ছেলে একেএম আব্দুস সালাম উক্ত সম্পত্তির উপর হাইকোর্টের রিট পিটিশন নং- ১২৯৭২/২০২১ দায়ের করিলে উক্ত মামলাটির রায় আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের লিভ টু আপীল নং ১৬২০/২০২২ দায়ের করা হয় যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
কিন্তু স্থানীয় ভূমি দস্যু একেএম সালাম,জামাল মাষ্টার চিহ্নিত সন্ত্রাসী কালা জুয়েল, সোহরাওয়ার্দি বাবু, টিটু, নান্নান সহ অজ্ঞাত আরও ২০০ জন বহিরাগত লোকজন নিয়ে বেআইনিভাবে জমিতে প্রবেশ করে সা'দ মুছা গ্রুপের কর্মচারী সাব্বির,সাদী,আলামিনকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে বের করে দেয় এবং জমিতে তাদের সাইনবোর্ড টানিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করে । এ অবস্থায় সা'দ মুছা গ্রুপের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মেজর(অবঃ) মইনুল হাসান ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা আকরাম হোসেন সরদার বলেন এই ভূমিখেকো সালাম এরকম নিরীহ ভদ্র লোকদের ফাকা সম্পত্তি পেলেই তার অপকর্মের হোতা জালাল মাষ্টারকে নিয়ে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে দখলের পায়তারা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় এজন্য তাদের রয়েছে বিশাল ক্যাডার বাহিনী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রচুর লোকজনের সমাগম এর মধ্যে একজন ইট নিয়ে দেয়ালের কাজ করছে, তাকে বেআইনি কাজের ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই বলেন ওসি ডিসির লগে কথা বলেন তারা জানে সকল কিছু, বুজেন না কিছু ফিডার খান? এ ব্যাপারে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোন দিলে তিনি থানায় যেয়ে দেখা করে কথা বলতে বলেন কিন্তু তিনি আর থানায় আসেন নি এবং ফোনও ধরেন নি । পরে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এস আই কাওসারের সাথে কথা বললে তিনি সালামের পক্ষ নিয়ে বলেন তাদের রায় কাগজপত্র ঠিক আছে তারা কাজ(দেয়াল নির্মাণ) করতেই পারে পাল্টা উনাকে যখন প্রশ্ন করা হলো এত লোক নিয়ে একজনের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করাকে কি বলে ? তখন তিনি চুপ ছিলেন । মিরপুর জোনের ডিসিকে কল দেওয়া হলে তিনি প্রথমে বলেন সরেজমিনে গিয়ে আমাকে জানান পরে আবার কল দিলে তিনি একেএম সালামের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন এবং তিনি বলেন তারা জিডি করে কাজ করতেছে ? এই বলে লাইন কেটে দেন।
সচেতন মহলের প্রশ্ন থানার এত কাছে দিনের বেলায় কি ভাবে এরা দখল প্রক্রিয়া করলো। তাদের খুঁটির জোর কোথায়?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।