পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের তাড়িয়ে দিতে চায় মিয়ানমারের সরকার। বিবিসি চ্যানেলকে এমনই জানিয়েছেন জাতিঙ্ঘের এক কর্মকর্তা। যদিও মিয়ানমার সরকার সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। জাতিসঙ্ঘ শরণার্থী সংস্থার কর্মকর্তা জন ম্যাককিসিক জানান, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে ইতিমধ্যেই এ জাতি বিতাড়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা করছে মিয়ানমারের সেনা। গুলি করে মেরে ফেলা হচ্ছে বহু সংখ্যালঘুকে, ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন মহিলারা। এমনকি রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই তাই প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের উপর বিদ্রোহীদের সুসংহত আক্রমণের পর থেকেই বিদ্রোহ দমনে অভিযান চালাচ্ছে সে রাজ্যের সরকার।
রোহিঙ্গা মুসলিমদের এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নিশানা করা হয়েছে বলে মত জাতিসঙ্ঘের। মিয়ানমারের অধিবাসী প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিমকে সে দেশের গরিষ্ঠসংখ্যক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষ বেআইনি শরণার্থী হিসেবেই দেখে থাকেন। সে জন্যই তাদের মিয়ানমার ছাড়তে হচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। মিয়ানমার সরকার অবশ্য এই দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে।
এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ ধরনের রিপোর্ট নিয়ে মিয়ানমারের সরকার ‘খুবই হতাশ’। বাংলাদেশ সরকারিভাবে শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার নীতি নিয়ে চলে না। কিন্তু সে দেশের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র স্বীকার করে নিচ্ছে, ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার থেকে সে দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সু-চি উভয়সঙ্কটে। একদিকে সমস্যার আশু সমাধানের জন্য তার উপর চাপ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল। অন্যদিকে দেশের নিরাপত্তার ভার স্বশাসিত সেনাবাহিনীর হাতে থাকায় তিনি কিছুই করে উঠতে পারছেন না। -সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।