Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাই -গণমিছিলে পীর সাহেব চরমোনাই

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২২, ৫:৫৮ পিএম | আপডেট : ৬:০৪ পিএম, ২ জুলাই, ২০২২

ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে পানি আগ্রাসন চালাচ্ছে। উজানের ৫৪টি নদীর সাথে বাংলাদেশের নদীগুলোর সর্ম্পক। যখন পানির প্রয়োজন হয় তখন আমাদের শুকিয়ে মারে। যখন পানির প্রয়োজন নেই তখন ডুবিয়ে মারে। ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা ধিক্কার জানাই। ভারতের পানি আগ্রাসনসহ ১৫ দফা দাবিতে আজ শনিবার বিকেল তিন টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে দলের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।

ভারতের পানি আগ্রাসন, কথিত গণকমিশনের ১১৬ জন আলেম ও ১০০০ মাদরাসার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং ইসলাম ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্কোচন বন্ধ, ইসলাম দেশ ও মানবতাবিরোধী মদের বিধিমালা বাতিল, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে ইসলামী হুকুমত কায়েমের লক্ষ্যে গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপারল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান,ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম,মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ আব্দুর রহমান, কে এম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইশা ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি নূরুল করিম আকরাম ও ডা. শহিদুল ইসলাম।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ভারতের সাথে সুসর্ম্পক রাখতে গিয়ে জবাই হতে হবে এটা মানবাধিকার বিরোধী। আগে দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই ভারতের সাথে সর্ম্পক গড়তে হবে। পীর সাহেব বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। আর দেশের বন্যা প্লাবিত অসহায় মানুষের জন্য মাত্র ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এটা ভাবতেও অবাক লাগে। মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশের ৯০% মানুষ ইসলামী আন্দোলনের ১৫ দফার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। পীর সাহেব বলেন, ইসলামী শিক্ষা বাদ দেয়া হবে আর ছেলে মেয়েরা নাস্তিক হবে এটা বরদাশত করা হবে না। দেশে নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হবে আর সরকার কানে তুলো দিয়ে বসে থাকবে। তা’ হতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, সরকার যদি এখনো কানে তুলো দিয়ে বসে থাকে তা’হলে ঈদের পরে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। পরে পীর সাহেবের নেতৃত্বে গণমিছিল শুরু হয়ে রাজধানীর কাকরাইল মোড় হয়ে শান্তিনগর মোড়ে পৌঁছলে পুলিশী বাধার মুখে মিছিলের কার্যক্রম মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ